৫ দশমিক ১ মাত্রার ভূমিকম্পে কেঁপে উঠছে ইরানের বিভিন্ন প্রদেশ। স্থানীয় সময় শুক্রবার (২০ জুন) ভূমিকম্প অনুভব করেন দেশটির মানুষ। যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) জানিয়েছে, কোম শহরে ভূমিকম্পটি উৎপত্তি হয়েছিল।
রাজধানী তেহরানের বাসিন্দারাও কম্পন টের পেয়েছেন। এ সময় তাদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। অনেকের মধ্যে শঙ্কা তৈরি হয় ইসরায়েলি হামলার কারণে মাটি কেঁপে উঠেছে। তবে পরবর্তীতে জানা যায় কোম শহরে ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। যেটির প্রভাব দেশের বিভিন্ন জায়গায় পড়েছে।
ভূমিকম্পের আঘাতে এখন পর্যন্ত কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান
এর আগে ২০১৭ সালে উত্তর কোরিয়া যখন পারমাণবিক পরীক্ষা চালায়, তখন ৬.৩ মাত্রার ভূকম্পন রেকর্ড করা হয়। এটি ছিল বিস্ফোরণঘটিত কৃত্রিম ভূকম্পন। ইরানের সেমনানে ৫.১ মাত্রার ভুকম্পন হয়েছে।
সেমনান ইরানের মিসাইল টেস্ট এরিয়া। এটি ইরানের প্রধান মহাকাশ উৎক্ষেপণ কেন্দ্র, যা সাফির (Safir) ও সিমোরঘ (Simorgh) লঞ্চ ভেহিকলের মাধ্যমে স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের জন্য ব্যবহৃত হয়। এই কেন্দ্র থেকেই ইরান বেশ কয়েকবার ব্যালিস্টিক মিসাইল ও মহাকাশ যান উৎক্ষেপণ করেছে। সেমনান মরুভূমি অঞ্চলে অবস্থিত হওয়ায় এখানে ব্যালিস্টিক মিসাইল ও রকেট পরীক্ষা চালানো নিরাপদ। ১০০ কিলোটনের পারমানবিক বোমার ভূগর্ভস্থ বিস্ফোরণ হলে সাধারণত ৫ মাত্রার ভুকম্পন অনুভুত হয়। মিলাইলাম আরকি। এইটা প্রাকৃতিক ভুমিকম্প না ও হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা জানায়, ইরানের কোম প্রদেশে অবস্থিত ফর্দো পারমাণবিক স্থাপনার কাছাকাছি ভূমিকম্প আঘাত হানে।
ভূমিকম্পের প্রভাব রাজধানী তেহরান পর্যন্ত পৌঁছায়। ভূমিকম্পের উপকেন্দ্র ছিল সেমনান শহর। এটি তেহরান থেকে প্রায় ১৪৫ মাইল পূর্বে। কম্পনের তীব্রতা হালকা ছিল এবং এ পর্যন্ত কোনো ধরনের ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এ ভূমিকম্প ঘিরে নানা গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়েছে। একজন ইরানি ব্লগারের টেলিগ্রাম চ্যানেলে ইঙ্গিত দেওয়া হয়, ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কোর (আইআরজিসি) হয়তো কোনো কিছু ‘পরীক্ষা’ করছিল। তবে এ দাবি এখনো নিশ্চিত নয় বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম মিরর ইউএস।
ইরানের প্রধান গণমাধ্যমগুলো ভূমিকম্পের খবর দিলেও ‘পরীক্ষা’ নিয়ে কিছু জানায়নি। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম কেউ ৫ দশমিক ২ মাত্রা, কেউবা ৫ দশমিক ৫ মাত্রার ভূমিকম্প হয়েছে বলে উল্লেখ করেছে।
ভূমিকম্পের প্রভাব রাজধানী তেহরান পর্যন্ত পৌঁছায়। ভূমিকম্পের উপকেন্দ্র ছিল সেমনান শহর। এটি তেহরান থেকে প্রায় ১৪৫ মাইল পূর্বে। কম্পনের তীব্রতা হালকা ছিল এবং এ পর্যন্ত কোনো ধরনের ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। তেহরানে কম্পন অনুভূত হওয়ার কথা নিশ্চিত করেছে স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো। ভূমিকম্পপ্রবণ অঞ্চলে অবস্থানের কারণে ইরানে এমন কম্পন নতুন কিছু নয়।
একই সময় ইরানের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে একটি ইসরায়েলি ক্ষেপণাস্ত্র হামলার ঘটনাও ঘটেছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় ও আঞ্চলিক সংবাদমাধ্যমগুলো। ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম ওয়াইনেটনিউজ ডটকম বলেছে, দক্ষিণ-পশ্চিমের বেহমাই প্রদেশে ‘মাগার’ নামের একটি ইরানি বিমান প্রতিরক্ষা স্থাপনায় হামলা চালানো হয়েছে।
মুন
Discussion about this post