অভিবাসনবিরোধী তল্লাশির জেরে টানা তৃতীয় দিনের মতো উত্তাল হয়ে উঠেছে যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেস। বিক্ষোভ দমনে ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যের এ শহরটিতে দুই হাজার ন্যাশনাল গার্ড মোতায়েন করা হলেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে হিমশিম খেতে হচ্ছে তাদের।
বিভিন্ন যানবাহনে অগ্নিসংযোগের পাশাপাশি লুটপাটের ঘটনাও ঘটতে দেখা যাচ্ছে। এ অবস্থায় হার্ডলাইনে যাচ্ছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। শহর থেকে সরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন তারা। প্রয়োজনে আরও সেনা মোতায়েনের ঘোষণা দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
এদিকে এ নিয়ে বড় ধরনের বিভক্তি লক্ষ্য করা যাচ্ছে রিপাবলিকান ও ডেমোক্র্যাটদের মধ্যে। ট্রাম্প প্রশাসনের বিরুদ্ধে মামলা করার হুমকিও দিয়েছেন ক্যালিফোর্নিয়ার গভর্নর গ্যাভিন নিউসম।
সোমবার (৯ জুন) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে রয়টার্স।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, তৃতীয় দিনে এসে আরও সহিংস রূপ ধারণ করেছে বিক্ষোভ। বেশ কিছু যানবাহনে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে বিক্ষোভকারীরা। বিক্ষোভ চলাকালে বেশ কিছু ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে লুটপাট হয়েছে বলেও জানিয়েছে লস অ্যাঞ্জেলেস পুলিশ বিভাগ (এলএপিডি)।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, লস অ্যাঞ্জেলসে পরিস্থিতি সত্যিই খারাপের দিকে যাচ্ছে। প্রয়োজনে আরও সেনা মোতায়েন করা হবে।
বিজ্ঞাপন
উদ্ভূত পরিস্থিতিতে তাকে ধুয়ে দিয়েছেন ডেমোক্র্যাট সিনেটর ক্রিস মারফি। তিনি বলেছেন, সবার মনে রাখা উচিত, ট্রাম্প দেশের শান্তি বজায় রাখার জন্য কোনও কাজ করছেন না। তিনি কেবল পরিস্থিতি উত্তপ্ত করে বিভক্তি তৈরির চেষ্টা করছেন। তিনি গণতন্ত্র বা আন্দোলনে বিশ্বাস রাখেন না। সুযোগ পেলে তারা আইনের শাসন নিশ্চিহ্ন করে দিতেও পিছপা হবেন না।
ক্যালিফোর্নিয়া কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া ন্যাশনাল গার্ড মোতায়েন নিয়ে ট্রাম্পের ওপর ক্ষুব্ধ হয়েছেন ডেমোক্র্যাট সিনেটর কোরি বুকার। সংবাদমাধ্যমে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ট্রাম্পের দ্বিচারিতার জন্য কটাক্ষ করেছেন তিনি।
বিক্ষোভ দমন নিয়ে ট্রাম্পের সঙ্গে কয়েক দফা তীক্ষ্ম বাক্যবিনিময়ও হয়ে গেছে ক্যালিফোর্নিয়ার গভর্নরের। সরকারি পদক্ষেপকে বাড়াবাড়ি বলে আখ্যা দিয়েছেন গভর্নর গ্যাভিন নিউসোম। তার অভিযোগ, ট্রাম্প কেবল লোক দেখানো কাজ করছেন। অন্যদিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেছেন, শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যর্থ হয়েছেন নিউসোম।
এস এইচ/
Discussion about this post