বাংলাদেশের চলমান রাজনৈতিক ইস্যু নিয়ে আবার আলোচনা হয়েছে জাতিসংঘের নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে। যেখানে বাংলাদেশে বিশ্বাসযোগ্য ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করেছে আন্তর্জাতিক এই সংস্থাটি।
স্থানীয় সময় সোমবার জাতিসংঘের নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকের এক প্রশ্নের জবাবে এ আহ্বান জানান জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস মুখপাত্র স্টিফেন দুজারিক।
ব্রিফিংয়ে এক সাংবাদিক তার কাছে জানতে চান- বিরোধী দলের ওপর দমন-পীড়ন এবং একটি রাজনৈতিক সমাধানের জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সহায়তা প্রত্যাখ্যানের মধ্য দিয়ে ৭ জানুয়ারি নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ সরকার। বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু এবং বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন নিশ্চিত করার জন্য মহাসচিব কি পদক্ষেপ নিচ্ছেন? একইসাথে জাতিসংঘের মন্তব্য জানতে চাওয়া হয়। প্রশ্ন করা হয় সরকার কি আন্তর্জাতিক আহ্বানকে উপেক্ষা করেছে?
জবাবে স্টিফেন ডুজারিক বলেন, বাংলাদেশে একটি শান্তিপূর্ণ, অংশগ্রহণমূলক এবং বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনের জন্য সব অংশীদার, সরকার, রাজনৈতিক দলগুলোকে আহ্বান জানায় জাতিসংঘ।
এই বিষয়ে আর কোন প্রশ্ন নিতে চাননি তিনি। এমনকি সাংবাদিককে থামিয়েও দেন তিনি। এদিকে একই দিন ওয়াশিংটন ডিসিতে অনুষ্ঠিত মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচন নিয়ে প্রশ্নের মুখোমুখি হয়েছে ম্যাথু মিলার। ব্রিফিংয়ে মিলার বাংলাদেশে শান্তিপূর্ণ, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রত্যাশা পুনর্ব্যক্ত করেন।
সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথু মিলার বলেন, যুক্তরাষ্ট্র কোনো বিশেষ দলকে সমর্থন করে না। শান্তিপূর্ণভাবে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন- বাংলাদেশের জনগণ যা চায় যুক্তরাষ্ট্রও তা চায়। বাংলাদেশের জনগণের স্বার্থে ওই লক্ষ্য অর্জনে একসঙ্গে কাজ করার জন্য যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশ সরকার, বিরোধী দল, নাগরিক সমাজসহ সব অংশীদারের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকবে।
আগামী ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। সেই লক্ষ্যে নির্বাচনী উৎসব শুরু হয়ে গেছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের মাঝে। বিক্রি হয়েছে কোটি কোটি টাকার মনোনয়ন পত্র। অপর দিকে সরকারে পদত্যাগে এখনো হরতাল-অবরোধের মতো কর্মসূচি পালন করে যাচ্ছে বিএনপি-জামায়াত ও তাদের সমমনা দলগুলো।
Discussion about this post