ঐতিহাসিক কুরআন দিবস উপলক্ষে শিক্ষার্থীদের মাঝে কুরআন বিতরণ করছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) শাখা ছাত্রশিবির। রোববার (১১ মে) সকাল ১১টা থেকে কর্মসূচি শুরু হয়। পরে বিকাল ৫টায় শেষ হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলায় একটু অস্থায়ী তাবু স্থাপন করে কুরআন অর্থসহ কুরআন বিতরণ করা হয়।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, একটি ছাউনির নিচে সাজানো রয়েছে অসংখ্য কুরআন শরিফ, ইসলামিক বই, ছাত্রশিবিরের সমর্থক ফরম ও রিপোর্ট। শিক্ষার্থীরা সেখানে এসে কুরআন সংগ্রহ করছেন। কুরআনের সঙ্গে দেওয়া হচ্ছে ‘কুরআন বুঝা সহজ’ ও ‘কুরআনের মর্ম কথা’ নামে দুটি সচেতনতামূলক বই।
কুরআন নিতে এসে ৫১ ব্যাচের দর্শন বিভাগের শিক্ষার্থী সাব্বির আহমেদ সাবিত বলেন, আমরা ক্লাসে ব্যস্ত থাকি, ধর্মীয় শিক্ষার প্রতি মনোযোগ কমে যায়। কিন্তু আজ এখানে এসে উপলব্ধি করলাম কুরআনের শিক্ষাও জীবনের জন্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ।
কর্মসূচির বিষয়ে শাখা শিবিরের প্লানিং এন্ড ডেভেলপমেন্ট সেক্রেটারি শাফায়াত মীর বলেন, ১৯৮৫ সালের ১০ এপ্রিল ভারতে পবিত্র কুরআন বাজেয়াপ্তের একটি রিট দায়ের হয়। এর প্রতিবাদে চাঁপাইনবাবগঞ্জে ১১ মে মিছিলে গুলিতে ৮ জন ভাই শাহাদাতবরণ করেন। সেই থেকেই দিনটিকে আমরা ‘ঐতিহাসিক কুরআন দিবস’ হিসেবে পালন করে আসছি। তিনি বলেন, আমরা চাই, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা কুরআনের সাথে সম্পর্ক গড়ে তুলুক, নৈতিকতা ও আদর্শের শিক্ষায় নিজেকে গড়ুক। কুরআন বিতরণ তারই একটি প্রয়াস।
ছাত্র অধিকার সম্পাদক রায়হান উদ্দিন বলেন, বর্তমানে শিক্ষার্থীদের মধ্যে কুরআন পড়ার প্রবণতা কম। অথচ একজন মানুষকে সৎ ও দায়িত্ববান হিসেবে গড়ে তুলতে কুরআনের শিক্ষাই যথেষ্ট। এই কর্মসূচির মাধ্যমে সেই চেতনা জাগিয়ে তুলতে চাই। পবিত্র কুরআনের মর্যাদা রক্ষা করা ঈমানি দায়িত্ব। আমরা চাই, শিক্ষার্থীদের মাঝে কুরআনের সৌরভ ছড়িয়ে পড়ুক।
এম এইচ/
Discussion about this post