খুলনার নগরীর ঐতিহ্যবাহী পঞ্চবিথী ক্রীড়া চক্র নামের একটি ক্লাব দখল করে সেখানে গণঅধিকার পরিষদের ব্যানার ঝুলিয়ে দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ক্লাব সদস্যদের অভিযোগ, সোমবার (২৭ জানুয়ারি) দোতলা ভবনের তালা ভেঙে গণঅধিকার পরিষদের নেতাকর্মীরা পঞ্চবিথীর সাইনবোর্ড ফেলে দিয়ে সেখানে তাদের ব্যানার ঝুলিয়ে দিয়েছে। তবে ব্যানার ঝোলানোর কথা স্বীকার করলেও গণঅধিকার পরিষদের নেতারা বলছেন, তারা অবৈধভাবে দখল করেননি।
নগরীর শান্তিধাম মোড়ের একটি দোতলা ভবনে প্রায় ১৪/১৫ বছর ধরে পঞ্চবিথী ক্লাবের কার্যালয়। ওই ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক নাজমুল মোল্লা অভিযোগ করে জানান, দুপুরে গণঅধিকার পরিষদের ১৫/২০ জন নেতাকর্মী পঞ্চবিথী ক্লাবের তালা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে। তারা ক্লাবের সাইনবোর্ড নামিয়ে দিয়ে তাদের ব্যানার ঝুলিয়ে দিয়েছে।
তিনি আরও জানান, ভবনটি গণপূর্ত বিভাগের কাছ থেকে বরাদ্দ নিয়ে তারা ক্লাবের কার্যালয় করেন। বরাদ্দ নেয়ার পর যুবলীগ নেতা নাহিদ মুন্সী তার মায়ের নামে ভুয়া বরাদ্দ নিয়ে আসেন। এ নিয়ে আমরা আদালতে মামলা করি। মামলাটি বর্তমানে আদালতে চলমান রয়েছে। বরাদ্দ নেয়ার পর থেকেই ভবনটিতে ক্লাবের কার্যালয় রয়েছে। এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানান, আমরা ক্লাবের সবার সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেব।
ক্লাবের সভাপতি রফিকুল ইসলাম খোকন জানান, গণঅধিকার পরিষদ ক্লাব ভবনটি দখল করে নিয়েছে। ভবনটির নিচতলার একটি ও দোতলার চারটি কক্ষে ক্লাবের কার্যক্রম চলে। অন্যান্য কক্ষগুলোতে একাধিক সাংস্কৃতিক ও সামাজিক সংগঠনের কার্যালয় রয়েছে।
এদিকে ক্লাবের সদস্য ও সাংবাদিক আবু হেনা মোস্তফা জামাল পপলু বিকেল ৪টার দিকে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেন, ‘রাজনৈতিক দলের নামে সরকারি সম্পত্তি ও ক্লাব দখল করলো গণঅধিকার পরিষদ, খুলনা। দখল হয়ে গেল খুলনার পঞ্চবিথী ক্লাব’। তার স্ট্যাটাসের নিচে অনেকেই কাজটি ঠিক হয়নি বলে মন্তব্য করেন।
তবে এ ব্যাপারে গণঅধিকার পরিষদের খুলনা মহানগর সাধারণ সম্পাদক শেখ রাশিদুল ইসলাম রাশেদ সাংবাদিকদের জানান, পঞ্চবিথী ক্লাবে জুয়াসহ বিভিন্ন অপকর্ম হতো। আমাদের ছেলেরা সেগুলো বন্ধ করে ব্যানার লাগিয়ে দিয়েছে। ভবনটি গণঅধিকার পরিষদের কার্যালয় হিসেবে ব্যবহারের জন্য জেলা প্রশাসকের দপ্তরে আবেদন করা হয়েছে। অনুমোদন প্রক্রিয়া ৭০ ভাগ এগিয়েছে। খুব শিগগিরই আমরা অনুমতি পেয়ে যাবো। তখন ভবন ব্যবহার করবো।
এ ইউ/
Discussion about this post