আজাদ কাশ্মীরের জনগণকে খাদ্য মজুদ করার নির্দেশ জারি করা হয়েছে।ভারতের সঙ্গে উত্তেজনা বৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে পাকিস্তান-শাসিত আজাদ কাশ্মীরের জন্য এ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বলা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১ মে) স্থানীয় সংসদে আইনপ্রণেতাদের উদ্দেশ্যে আজাদ কাশ্মীরের প্রধানমন্ত্রী চৌধুরী আনোয়ার উল হক বলেন, ‘দুই মাসের জন্য খাদ্য সরবরাহ মজুদ করার নির্দেশনা জারি করা হয়েছে।’
গত ২২ এপ্রিল ভারত-নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে সশস্ত্র হামলার পর দুই পারমাণবিক শক্তিধর প্রতিবেশীর মধ্যে উত্তেজনা আরও বেড়ে যায়। নয়াদিল্লি এই হামলার সঙ্গে ইসলামাবাদের জড়িত থাকার অভিযোগ করেছে এবং ইসলামাবাদ কোনোভাবে এতে জড়িত নয় বলে জানিয়েছে। একই সঙ্গে পাকিস্তান এ ঘটনার আন্তর্জাতিক তদন্তের আহ্বান জানিয়েছে।
আজাদ কাশ্মীরের প্রধানমন্ত্রী বলেন, যদি দুই দেশের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়, তাহলে এই অঞ্চলে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করার চূড়ান্ত ক্ষমতা মন্ত্রিসভার রয়েছে। আমরা পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে, সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণ করছি।
ইতোমধ্যে দুই প্রতিবেশী দেশকে পৃথককারী নিয়ন্ত্রণ রেখার (এলওসি) পেছনে ভারতীয় সেনারা জড়ো হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। পাকিস্তানও সীমান্তে সামরিক মহড়া শুরু করেছে।
জাতিসংঘ এবং বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে এবং সংযম ও সংলাপের আহ্বান জানিয়েছে। কেননা ‘ভুল হিসাব-নিকাশ বা অনিচ্ছাকৃত উত্তেজনা’ বৃদ্ধির সম্ভাবনা এই অঞ্চলে আরও বিস্তৃত সংঘাতের আশঙ্কা তৈরি করেছে।
কাশ্মীরের বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনসহ অনেক রাজনৈতিক নেতারা মনে করছেন, চূড়ান্ত যুদ্ধের মুখোমুখি ভারত-পাকিস্তান। যার প্রথম আক্রমণ কাশ্মীরেই হতে পারে ধারণা করা হচ্ছে। যার জন্য খাদ্য মজুদের ঘোষণা।
এম এইচ/
Discussion about this post