পরকালে বিশ্বাস রাখা ইমানের অংশ। পরকালে রয়েছে জান্নাত ও জাহান্নাম। জান্নাতবাসীদের নিয়ামত কখনো শেষ হবে না। জান্নাত অনন্ত সুখের আধার। শান্তি-সুনিবিড় আনন্দ-পল্লী। প্রতিটি মুমিনের শেষ ঠিকানা। মহান আল্লাহ তাআলা নিজেই সবাইকে জান্নাতের পথে ডেকেছেন। জান্নাতে যাওয়ার সব রকম পথ অত্যন্ত সহজ করে দিয়েছেন।
পবিত্র কোরআনুল কারিমে আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘আল্লাহ শান্তির ঘরের দিকে ডাকছেন।’ (সূরা ইউনুস, আয়াত: ২৫)
মুমিনদের জান্নাতের সুসংবাদ দিয়ে আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘বল, ‘আমি কি তোমাদেরকে এর চেয়েও উত্তম বস্তুর সংবাদ দেব? যারা তাকওয়া অর্জন করে, তাদের জন্য রয়েছে তাদের রবের নিকট জান্নাত, যার তলদেশ দিয়ে প্রবাহিত হয় নহরসমূহ। সেখানে তারা স্থায়ী হবে। আর পবিত্র স্ত্রীগণ ও আল্লাহর পক্ষ থেকে সন্তুষ্টি’। আর আল্লাহ বান্দাদের সম্পর্কে সম্যক দ্রষ্টা’। (সুরা আল ইমরান, আয়াত : ১৫)
জান্নাতে যাওয়ার জন্য মুমিনদের আমল করতে হয়। বিভিন্ন হাদিসে রাসূল সা. জান্নাতে যাওয়ার আমলের বর্ণনা দিয়েছেন। এমন একটি আমল হলো—“লা হাওলা ওলা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ।”
রাসূল সা. এটিকে জান্নাতের মূল্যবান সম্পদ বলে অভিহিত করেছেন। একটি হাদিসে এসেছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহুকে বললেন, আমি কি তোমাকে জান্নাতের একটি মূল্যবান সম্পদের সন্ধান দেব না? সেটা হলো: “লা হাওলা ওলা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ।” (বুখারি, হাদিস : ৬৩৮৪, মুসলিম, হাদিস : ২৭০৪)
আবার কোনো কোনো বর্ণনায় বলা হয়েছে, জান্নাতের সে মূল্যবান সম্পদ হলো: “লা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ”। (মুসনাদে আহমাদ, হাদিস : ২/৩৩৫)
এম এইচ/
Discussion about this post