নারয়ণগঞ্জে একদিনেই সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে পৃথক দুটি হত্যা মামলা দায়ের হয়েছে। আজ বুধবার জেলার রূপগঞ্জ ও ফতুল্লা থানায় এ মামলাগুলো দায়ের হয়।
রূপগঞ্জে গুলিতে দশম শ্রেণির ছাত্র রোমান মিয়া হত্যার ঘটনায় শেখ হাসিনাসহ ৪৫ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত আরও ৬০ জনকে আসামি করে রূপগঞ্জ থানায় মামলাটি করেন নিহত রোমানের খালা রিনা। এতে আসামিদের মধ্য আরও রয়েছে— সাবেক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সাবেক সংসদ সদস্য গোলাম দস্তগীর গাজী ও তার ছেলে গোলাম মর্তুজা পাপ্পা। রূপগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) জোবায়ের হোসেন মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলার বাদী জানান, ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পতনের খবরে ছাত্র-জনতার আনন্দ মিছিল চলাকালে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা আগ্নেয়াস্ত্র ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে রূপগঞ্জের চনপাড়া এলাকার জনকল্যাণ স্কুলের সামনে হামলা চালায় । এসময় সন্ত্রাসীরা ছাত্র-জনতাকে লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ করে ও ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। এসময় সন্ত্রাসীদের গুলিতে আহত হন রোমান মিয়া। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে পূর্বগ্রাম হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করে।
অন্যদিকে, সাইনবোর্ড এলাকায় গুলিবিদ্ধ হয়ে আবুল হোসেন মিজি নিহতের ঘটনায় শেখ হাসিনা, শামীম ওসমানসহ ৮০ জনের নাম উল্লেখ করে ফতুল্লা থানায় মামলাটি করে আবুল হোসেন মিজির মা। এতে ১৫০ থেকে ২০০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়। ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূরে আজম মামলার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে, গত ৫ আগস্ট শহরের মিশনপাড়া এলাকায় গুলিবিদ্ধ আবুল হাসান স্বজনের (২০) মৃত্যুর ঘটনায় সদর থানা ও গত ২১ জুলাই সিদ্ধিরগঞ্জে মাছ বিক্রেতা মিলন গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যাওয়ার ঘটনায় সিদ্ধিরগঞ্জ থানা, ২০ জুলাই সোনারগাঁয়ের কাঁচপুরে গুলিবিদ্ধ হয়ে পরিবহন শ্রমিক জনি নিহতের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় শেখ হাসিনাকে আসামি করা হয়।
এ এ/
Discussion about this post