ঢালিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী পূর্ণিমা। নব্বই দশকের শেষপ্রান্তে রঙিন পর্দায় যাত্রা শুরু করেছিলেন তিনি; আর তখন থেকে আজ অবধি প্রায় আড়াই যুগ ধরে দর্শকের মন জয় করে চলেছেন এই লাস্যময়ী অভিনেত্রী। তাই তিনি তকমা পেয়েছেন দুই প্রজন্মের নায়িকা হিসেবে। বহুবছর ধরে সিনেমায় কাজ করলেও পূর্ণিমার আগের চেহারা আর এখনকার চেহারার মাঝে তেমন কোনো পার্থক্য নেই, যেন চিরসবুজ, চিরচেনা রূপসী।
বর্তমানে পূর্ণিমা নিয়মিতভাবে অভিনয়ে দেখা না গেলেও ওয়েব কনটেন্ট ও বিভিন্ন শোবিজ অনুষ্ঠানে সক্রিয়ভাবে অংশ নিচ্ছেন। পাশাপাশি ব্যক্তিগত জীবন ও পারিবারিক ব্যস্ততা সামলে সামাজিক মাধ্যমেও দারুণ সরব তিনি।
পূর্ণিমার ব্যক্তিজীবন বরাবরই প্রশংসিত। নানা বিতর্কের বাইরে থেকে বরং নিজেকে পরিপাটি ও মর্যাদাপূর্ণভাবে উপস্থাপন করে চলেছেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় রয়েছে তার বিপুল ভক্ত-অনুসারী। নানান সাজ-পোশাকে নিজেকে তুলে ধরেন তিনি, আর প্রতিবারই ভক্তরা তাকে দেখে মুগ্ধ হয়ে যান।
সম্প্রতি এক সাদামাটা সাজে পূর্ণিমার কিছু নতুন ছবি ভাইরাল হয়েছে—যেখানে তিনি পরেছেন হালকা নীল সালোয়ার আর সাদা ওড়না। ক্যামেরার সামনে মিষ্টি হাসিতে পোজ দিয়েছেন নায়িকা, যা দেখে অনেকেই রীতিমতো আফসোস করেছেন।
একজন নেটিজেন মন্তব্য করেছেন, ‘ছোট থেকে দেখে আসছি আপনাকে, একইরকম। আমরা বুড়ি হয়ে যাচ্ছি, আপনি সেই বয়সেই পড়ে আছেন।’ একইভাবে আরেকজনের মন্তব্য, ছোটবেলার ক্রাশ, এখনও কত সুন্দর আপনি। আরেক নেটিজেন লিখেছেন, ‘সিম্পলের ওপর সুন্দর লাগছে।’
নায়িকা পূর্ণিমা ২০০৩ সালে ‘মনের মাঝে তুমি’ ছবিতে অভিনয় করে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পান। এরপর ২০০৬ সালে এস এ হক অলিক পরিচালিত ‘হৃদয়ের কথা’ সিনেমায়ও তার অভিনয় দাগ কেটেছে দর্শকের মনে। তখন থেকেই পূর্ণিমা বাংলা চলচ্চিত্রের এক অবিচ্ছেদ্য নাম।
বর্তমানে সিনেমার পর্দায় কম দেখা গেলেও পূর্ণিমার সৌন্দর্য, ব্যক্তিত্ব আর স্থায়ী জনপ্রিয়তা তাকে এখনো আলোচনার কেন্দ্রে রেখেছে। আর তাইতো, পূর্ণিমাকে দেখলেই অনেকেই বলেন—সময় যেন তার জন্য থেমে আছে!
এস এইচ/
Discussion about this post