নাটোরে বাগাতিপাড়া উপজেলায় বিয়ে বাড়িতে উচ্চশব্দে গান বাজানোকে কেন্দ্র করে হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ সময় বাসরঘরে ঢুকে বরকে মারধর ও বাসরঘর ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন বরের মা, নানীসহ আরও তিনজন।
শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার জয়ন্তীপুর এলাকার মিন্টু আলী শাহের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন দয়ারামপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. মাহাবুবুর রহমান মিঠু। দুই পক্ষকে নিয়ে বসে বিষয়টি মীমাংসা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ১ নম্বর জয়ন্তীপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য মো. জাহাঙ্গীর আলম।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত শুক্রবার মিন্টু আলী শাহের ছেলে আরাফাত শাহের (২১) সঙ্গে নাটোরের লালপুর উপজেলার আব্দুল মজিদের মেয়ের বিয়ে হয়। বিয়ের অনুষ্ঠান ঘিরে দুই দিন ধরে বাড়িতে উচ্চশব্দে গান বাজানো হচ্ছিল। বৃহস্পতিবার রাতে বিষয়টি নিয়ে প্রতিবেশী আব্দুল আওয়াল শাহ অভিযোগ করলে বরের বাবা মিন্টু বক্সের সাউন্ড কমিয়ে দেন। কিন্তু শুক্রবার রাতে আবার উচ্চশব্দে গান বাজালে আব্দুল আওয়াল শাহ ও তার ছেলেসহ স্থানীয় কয়েকজন এসে বর, তার মা, নানীসহ চারজনকে মারপিট করে। এ সময় তারা বাসর ঘরটিও ভাঙচুর করেন।
মিন্টু আলী শাহ স্থানীয় সাংবাদিকদের বলেন, “হঠাৎ করে আব্দুল আওয়াল শাহ তার ছেলেসহ স্থানীয় তিনজন আমার ছেলেকে বাসর ঘর থেকে টেনে বাইরে নিয়ে এসে মারপিট করেন। এরপর তারা বাড়িতে ঢুকে আগত অতিথিদের বলে- ‘তোরা এখন গান বাজা, আমরা বাসর করবো’। এরপর ঘরে থাকা খাটসহ আসবাবপত্র ভাঙচুর করেন তারা।”
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে আব্দুল আওয়াল শাহ বলেন, “কয়েকদিন ধরে উচ্চস্বরে গান বাজিয়ে এলাকার কাউকে ঘুমাতে দিচ্ছে না বিয়ে বাড়ির লোকজন। আমরা তাদের গান বাজাতে মানা করেছি, কাউকে কোনো মারপিট করা হয়নি।”
এ বিষয়ে শনিবার রাত ৮টার দিকে ইউপি সদস্য মো. জাহাঙ্গীর আলম সংবাদমাধ্যমকে বলেন, “এ ঘটনায় গ্রাম্যভাবে বসে বিষয়টি সমাধান করা হচ্ছে। উচ্চশব্দে গান বাজানোকে কেন্দ্র করেই এ ঘটনা ঘটছে। কোনো ভাঙচুর করেনি, এগুলো মিথ্যা। এখন সেই সালিশে আছি, পরে কথা বলি।”
তাহলে সালিশ করছেন কী নিয়ে এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, “ওইযে মারামারি করিছিল, তখন হয়তোবা ইয়া হইছে…। ওরা নিজেরাই হয়তো ভাঙচুর করি এখন ঝামেলা করতিছে।”
এ ব্যাপারে বাগাতিপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম বলেন, “বাসরঘরের ফুলটুল টান দিয়ে ছিঁড়ছে, অন্য কিছু না।” চারজন আহত হয়েছে জানেন কি-না জানতে চাইলে ওই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, “বাসরঘর ভাঙচুর ও মারপিটের ঘটনা সংক্রান্ত কোনো অভিযোগ আমি থানায় পাইনি।”
এস এইচ/
Discussion about this post