ব্যবহৃত স্বর্ণের জাকাত নিয়ে যা বলা আছে

ইসলামের পঞ্চ স্তম্ভের একটি জাকাত। জাকাত একটি ফরজ বিধান। আল্লাহর কঠিন শাস্তি রয়েছে জাকাত আদায় না করলে। আল্লাহ তাআলা জাকাত সঠিকভাবে আদায়ে বিশেষ পুরস্কার ঘোষণা করেছেন। আবার জাকাত আদায়ে গড়িমসি করলে কঠোর হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন তিনি।

ফিকহে হানাফিতে সোনা, রূপা চাই তা ব্যবহৃত হোক অথবা অব্যবহৃত, একাকী নেসাব পরিমাণ হোক বা একাধিক জাকাত যোগ্য সম্পদকে মিলানোর মাধ্যমে হোক, যদি তা নিসাব পরিমাণ হয়, তাহলে তাতে জাকাত ওয়াজিব।যদি কেউ আংটি এবং হাতের চুরি ব্যবহার করে, আর অন্য গহনা ব্যবহার না করে, তারপরও অন্য গহনার সাথে মিলিয়ে সাড়ে সাত ভরি (স্বর্ণের নিসাব) স্বর্ণের মূল্য পরিমান হলেই জাকাত আদায় করা ওয়াজিব।

আরও পড়ুনঃ মার্কিন সেনা রাশিয়ায় গ্রেপ্তার

জাকাত যখন চন্দ্রবর্ষ পূর্ণ হবে, তখন স্বর্ণের মার্কেটভেলু অনুযায়ী টাকা নির্ণয় করে লাখে আড়াই পার্সেন্ট; আড়াই হাজার, হাজারে ২৫টাকা এবং শতে আড়াই টাকা করে হিসেব অনুযায়ী জাকাত প্রদান করবেন।

আল্লাহ রাব্বুল আলামিন কোরআনে বলেন,

“যারা সোনা-রুপা পুঞ্জীভূত করে এবং তা আল্লাহর পথে ব্যয় করে না, তাদেরকে যন্ত্রণাময় শাস্তির ‘সুসংবাদ’ দাও। (সুরা তাওবা ৩৪)”

হযরত আবু কামিল (রহ.) আমর ইবনে শুআইব (রহ.) থেকে পর্যায়ক্রমে তার পিতা ও দাদার সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন,

“এক মহিলা তার কন্যাসহ রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লামের খেদমতে উপস্থিত হন। তার কন্যার হাতে মোটা দুই গাছি সোনার কাকন ছিল। তিনি বলেন, তোমরা কি যাকাত দাও? মহিলা বলেন, না। রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ তুমি কি পছন্দ কর যে, কিয়ামতের দিন আল্লাহ্‌ তায়ালা এর পরিবর্তে তোমাকে এক জোড়া আগুনের কাঁকন পরিধান করান? রাবী বলেন, একথা শুনে মেয়েটি তার হাত থেকে তা খুলে নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সামনে রেখে দিয়ে বলল, এ দুটি আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের জন্য। (তিরমিজি, নাসাঈ, আবু দাউদ ১৫৬৩)।”

এ এ/