চট্টগ্রাম নগরের কাপাসগোলা এলাকায় নালায় এক শিশু তলিয়ে যাওয়ার খবরে নালায় তল্লাশি চালাচ্ছে ফায়ার সার্ভিস। শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) সন্ধ্যা সোয়া ৬টার দিকে খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস তল্লাশি শুরু করে। চট্টগ্রাম ফায়ার সার্ভিসের নিয়ন্ত্রণ কক্ষের একজন কর্মকর্তা ঢাকা পোস্টকে বলেন, স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পেয়ে আমরা তল্লাশি শুরু করেছি। এখনো পাওয়া যায়নি।
স্থানীয়রা জানায়, কাপাসগোলা এলাকায় একটি হোটেলের পাশের নালায় একটি ব্যাটারিচালিত রিকশাসহ মা ও ছয় মাস বয়সী শিশু পড়ে যায়। পরে মাকে উদ্ধার করা গেলেও শিশুটি পানির স্রোতে তলিয়ে যায়। ঘটনাস্থলে ফায়ার সার্ভিসের পাশাপাশি স্থানীয়রাও তল্লাশি কাজে সহায়তা করছেন।
প্রসঙ্গত, চট্টগ্রামে অতীতেও খালে পড়ে শিশু নিখোঁজের ঘটনা ঘটেছে। ২০২২ সালে ষোলশহর এলাকায় শিশু কামাল নালায় পড়ে নিখোঁজ হয় এবং তিন দিন পর মুরাদপুর থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ২০২৩ সালের ২৭ আগস্ট আগ্রাবাদ রঙ্গীপাড়া এলাকায় ১৮ মাসের শিশু ইয়াছিন আরাফাত নালায় পড়ে নিখোঁজ হয় এবং প্রায় ১৭ ঘণ্টা পর তার মরদেহ উদ্ধার হয়। ২০২৪ সালের জুনে গোসাইলডাঙ্গা এলাকায় ৭ বছরের শিশু সাইদুল ইসলাম নালায় পড়ে নিখোঁজ হয় এবং পরদিন নাছির খাল থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
এদিকে চট্টগ্রাম শহরে খোলা নালা ও ড্রেনের কারণে একের পর এক প্রাণহানির ঘটনা ঘটলেও কর্তৃপক্ষকে কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নিতে দেখা যায় না। দুর্ঘটনায় কখনো শিশু, কখনো বৃদ্ধ কিংবা শিক্ষার্থী নালায় পড়ে প্রাণ হারালে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে উদাসীন। প্রতিটি ঘটনার পরই কিছুদিন বিভিন্ন মহলে আলোচনা হয় এবং কিছুদিন পর থেমে যায়। নালাগুলোর মুখ খোলা পড়ে থাকে। বৃষ্টি হলেই নালা ও ড্রেনগুলো পানিতে পরিপূর্ণ হয়ে যায় এবং পথচারীদের জন্য মরণফাঁদে পরিণত হয়। সিটি কর্পোরেশনের বারবার প্রতিশ্রুতি দিলেও বাস্তবে কোনো দৃশ্যমান পদক্ষেপ নিতে দেখা যায় না।
এম এইচ/
Discussion about this post