সৌদি আরবে পবিত্র হজ পালন শেষে দেশে ফিরেছেন ৫৪ হাজার ৩৯৭ জন। বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) পর্যন্ত ফেরা হাজিদের মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ৫ হাজার ৭ জন এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ফিরেছেন ৪৯ হাজার ৩৯০ জন।
হজযাত্রী পরিবহনে তিনটি বিমান সংস্থা যুক্ত ছিল। এর মধ্যে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স পরিবহন করেছে ২৩ হাজার ৯০০ জন, সৌদি এয়ারলাইন্স পরিবহন করেছে ২২ হাজার ৫৬ জন এবং ফ্লাইনাস এয়ারলাইন্স পরিবহন করেছে ৮ হাজার ৪৪১ জন হাজিকে।
এ পর্যন্ত মোট ১৪২টি ফিরতি হজ ফ্লাইট পরিচালিত হয়েছে। এর মধ্যে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স পরিচালনা করেছে ৬৩টি, সৌদি এয়ারলাইন্স ৫৭টি এবং ফ্লাইনাস এয়ারলাইন্স ২২টি ফ্লাইট পরিচালনা করেছে।
হজ পালনের উদ্দেশ্যে সৌদি আরবে গিয়ে এখন পর্যন্ত মোট ৪০ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে ২৯ জন পুরুষ এবং ১১ জন নারী। হজ অফিসের বুলেটিন থেকে এসব তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, এ বছর বাংলাদেশ থেকে মোট ৮৭ হাজার ১৫৭ জন মুসল্লি হজে গিয়েছেন। তাদের সৌদি আরবে যাত্রা শুরু হয়েছিল ২৯ এপ্রিল এবং শেষ ফ্লাইটটি গিয়েছিল ৩১ মে। হজ অনুষ্ঠিত হয় ৫ জুন। ফিরতি হজ ফ্লাইট চলবে আগামী ১০ জুলাই পর্যন্ত।
হজে গিয়ে মারা যাওয়া ৪০ জনের নাম
পটুয়াখালী সদরের মো. আ. রহমান জোমাদ্দার, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরের মোহাম্মদ আলী, নাটোরের সিংড়ার মোছা. ফিরোজা বেগম, সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জের মোছা. ফাতেমা খাতুন, গাজীপুরের গাছার মো. আফজাল হোসাইন, ঢাকার শাহজাহানপুরের মনোয়ারা ছিদ্দিকা, দক্ষিণ সুরমা সিলেটের আফিয়া খাতুন, ঢাকার উত্তরা পশ্চিম থানা এলাকার মোছা. নাজমা রানা, কুমিল্লার মুরাদনগরের বেগম সামছুন্নাহার, ঢাকার রামপুরার মো. মোজাহিদ আলী প্রাং, যশোরের মনিরামপুরের মনজুয়ারা বেগম, ঢাকার ক্যান্টনমেন্ট থানা এলাকার রোকেয়া বেগম, নোয়াখালীর চাটখিলের খাতিজা বেগম, ময়মনসিংহের কোতোয়ালী থানা এলাকার মো. মনিরুজ্জামান, ঢাকার আদাবর থানা এলাকার এ.এস.এম. হায়দারুজ্জামান, লালমনিরহাটের পাটগ্রামের আমির হামজা, নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের আবদুর রশিদ, সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া মডেল থানা এলাকার গোলাম মোস্তফা, গাইবান্ধার সাদুল্লাপুরের এ টি এম খায়রুল বাসার মন্ডল, নোয়াখালীর সোনাইমুড়ির মো. মজিব উল্যা, খুলনার বটিয়াঘাটার শেখ মো. ইমারুল ইসলাম, ঢাকার কেরানীগঞ্জ মডেল থানা এলাকার মনোয়ারা বেগম মনিয়া, নীলফামারীর সৈয়দপুরের মো. জাহিদুল ইসলাম, গাজীপুরের পুবাইলের মো. মফিজ উদ্দিন দেওয়ান, নওগাঁ সদরের মো. আবুল হোসেন, টঙ্গী পূর্ব গাজীপুরের আবুল কালাম আজাদ, মাদারীপুর সদরের মোজলেম হাওলাদার, জয়পুরহাটের পাঁচবিবির মো. মোস্তাফিজুর রহমান, চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জের মো. শাহাদাত হোসেন পাঠান, চাঁদপুরের কচুয়ার মো. বশির হোসেন, রংপুরের পীরগঞ্জের মো. সাহেব উদ্দিন, চাঁদপুরের মতলব দক্ষিণের আ. হান্নান মোল্লা, গাজীপুর সদরের মো. জয়নাল হোসেন, চট্টগ্রামের সন্দ্বীপের মো. অহিদুর রহমান, নীলফামারী সদরের মো. ময়েজ উদ্দিন, জামালপুরের বকশিগঞ্জের হাফেজ উদ্দিন, ঢাকার মোহাম্মদপুরের মো. শাহজাহান কবীর, পঞ্চগড় সদরের আল হামিদা বানু, কিশোরগঞ্জের বাজিতপুরের মো. ফরিদুজ্জামান, রাজবাড়ীর পাংশার মো. খলিলুর রহমান।
এম এইচ/
Discussion about this post