দেশের বাজারে হটাৎ করেই বেড়েছে ডিমের দাম। গেলো ১৫ দিনের ব্যবধানে হালি প্রতি ডিমের দাম বেড়েছে ১০ থেকে ১৫ টাকা। এতে করে সাধারণ ক্রেতাদের মাঝে চরম ক্ষোভ ও অসন্তোষ বিরাজ করছে। বিক্রেতারা বলছেন, অতি গরমের প্রভাবে ডিম উৎপাদন কমেছে এছাড়া খাদ্যের দাম বাড়তির কারণে ডিমের দামও বেড়েছে।
সরেজমিনে লক্ষ্মীপুর জেলা শহরের মাছ বাজার রোড ও গোডাউন রোডসহ বিভিন্ন ডিমের দোকান ঘুরে জানা যায়, দেশি হাঁসের ডিম বিক্রি হচ্ছে হালি প্রতি ৮০ টাকা, কক মুরগীর ডিম বিক্রি হচ্ছে ৭৫ টাকা হালি, লাল ডিম বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকায়, যা এক সপ্তাহ আগে বিক্রি হতো ৭০, ৬৫ ও ৪০ টাকায়।
এমন পরিস্থতিতে সাধারণ ক্রেতারা বলছেন, দিনকে দিন সাধ্যের বাইরে চলে যাচ্ছে ডিম ও মুরগির দাম, এখনই লাগাম টেনে না ধরলে এগুলো কেনা অসম্ভব হয়ে উঠবে।বিক্রেতারা বলছেন, তীব্র গরমে মরে যাওয়ার হাত থেকে বাঁচাতে অনেকেই আগে ভাগে বিক্রি করে দিচ্ছেন মুরগি। এতে ডিম উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। এছাড়া খাদ্যের দাম বাড়তির কথাও বলছেন অনেকে।
এদিকে সচেতন মহল বলছেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকারের মনিটরিং ব্যবস্থা দুর্বল। তাই একেকবার একেকটি পণ্যের দাম বেড়ে যায়, এর ফলে সরকারের ভাবমূর্তি নষ্টের পাশাপাশি জনমণে মিশ্র প্রত্রিক্রিয়া দেখা দেয়।
জানতে চাইলে জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা কুমদ রঞ্জন বলেন, জেলায় এ বছর ডিম উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে সাড়ে ১৬ কোটি, উৎপাদন হয়েছে সাড়ে ১৫ কোটি ডিম। তাছাড়া ডিমের চাহিদা দিন দিন বাড়ছে, এতে করে কিছু টান রয়েছে বাজারে, তাই দামও কিছুটা বেড়েছে বলে জানান এ কর্মকর্তা।
এ এস/
Discussion about this post