উত্তর কোরিয়া ২০২৪ সালে আরও তিনটি গোয়েন্দা কৃত্রিম উপগ্রহ উৎক্ষেপণের পরিকল্পনা করছে। সামরিক শক্তি বাড়ানোর প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে এ পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। রোববার (৩১ ডিসেম্বর) উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়।
পিয়ংইয়ং গত মাসে সফলভাবে কক্ষপথে একটি গোয়েন্দা কৃত্রিম উপগ্রহ স্থাপন করে। তখন থেকেই পিয়ংইয়ং দাবি করে আসছে, কৃত্রিম উপগ্রহটি যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়ার গুরুত্বপূর্ণ সামরিক স্থান-স্থাপনার ছবি তুলে পাঠাচ্ছে।
তাছাড়া চলতি বছর উত্তর কোরিয়া রেকর্ডভাঙা–সংখ্যক বিভিন্ন ধরনের অস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়েছে। এর মধ্যে চলতি মাসেই দেশটি তার সবচেয়ে শক্তিশালী আন্তমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের (আইসিবিএম) পরীক্ষা চালায়। এত অস্ত্র পরীক্ষার পেছনের কারণ হিসেবে তারা যুক্তরাষ্ট্রের ক্রমবর্ধমান হুমকিকে দায়ী করেছে।
উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় কোরিয়ান সেন্ট্রাল নিউজ এজেন্সি (কেসিএনএ) বলেছে, ২০২৪ সালে তিনটি অতিরিক্ত তথ্যানুসন্ধান কৃত্রিম উপগ্রহ উৎক্ষেপণের কাজ ঘোষণা করা হয়েছে। উত্তর কোরিয়ার ক্ষমতাসীন দলের চলতি বছরের শেষ বৈঠকে আগামী বছরের জন্য নেওয়া অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ নীতিগত সিদ্ধান্তগুলোর এটি একটি।
পাঁচ দিনের এ বৈঠক শনিবার (৩০ ডিসেম্বর) শেষ হয়। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং-উন।
বৈঠকে কিম জং-উন বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র দীর্ঘদিন ধরে কোরীয় উপদ্বীপে রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করে আসছে। তারা পরিস্থিতিকে আরও খারাপ করছে। বছর শেষ হতে যাচ্ছে, তা সত্ত্বেও তারা উত্তর কোরিয়ার জন্য বিভিন্ন ধরনের সামরিক হুমকি অব্যাহত রেখেছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, উত্তর কোরিয়া ২০২৪ সালে তিনটি নতুন গোয়েন্দা কৃত্রিম উপগ্রহ উৎক্ষেপণ ছাড়াও সামরিক ড্রোন তৈরি ও পারমাণবিক অস্ত্রাগার সমৃদ্ধ করার অঙ্গীকার করেছে।
দলীয় বৈঠকের সমাপনীতে উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং-উন যুক্তরাষ্ট্রের কড়া সমালোচনা করেছেন। তিনি বলেছেন, মার্কিন নীতি যুদ্ধকে অনিবার্য করে তুলছে।
সূত্র: এএফপি
এফএস/
Discussion about this post