ভারত থেকে ডিম আমদানির অনুমতি দেওয়ার প্রায় দেড় মাস পর প্রথম চালানে দেশে এসেছে ৬১ হাজার ৯৫০ পিস ভারতীয় ডিম।
ভারত থেকে আমদানি করা ডিমের চালানটি বেনাপোল বন্দর দিয়ে একটি ট্রাকে রোববার (৫ নভেম্বর) সন্ধ্যায় প্রথম ধাপে দেশে প্রবেশ করে। বিডিএস কর্পোরেশন নামে একটি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান ডিমগুলো এনেছে। শুল্কসহ প্রতিটি ডিমের দাম পড়েছে ৭ টাকা ২৩ পয়সা। আমদানিসহ অন্যান্য খরচ মিলিয়ে খোলাবাজারে ডিমের হালি ৪০ টাকার কমে বিক্রি করা সম্ভব হবে।
এ বিষয়ে ডিম ছাড়কারী সিঅ্যান্ডএফ প্রতিষ্ঠান এমই এন্টারপ্রাইজের প্রতিনিধি মহিদুল হক রুবাই জানিয়েছেন, ভারত থেকে প্রথম চালানে ৬১ হাজার ৯৫০টি ডিম আমদানি করা হয়েছে। যে প্রতিষ্ঠান এই ডিম নিয়ে এসেছে, তাদের আমদানির অনুমতি ছিল এক কোটির। পর্যায়ক্রমে ডিমের বাকি চালান দ্রুততম সময়ের মধ্যে বন্দরে আসবে।
দেশে দফায় দফায় দাম বেড়ে রেকর্ড ১৭০ টাকায় পৌঁছে ডিমের ডজন। সরকারের তদারক ব্যবস্থা জোরদার করার পরও নিয়ন্ত্রণে আসেনি বাজার। এমন পরিস্থিতিতে গত ১৮ সেপ্টেম্বর প্রথম দফায় চার কোটি ডিম আমদানির অনুমতি দেওয়া হয়।
এরপর আরও দুই দফায় ছয় কোটি করে ১২ কোটি ডিম আমদানির অনুমতি দেয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। তিন দফায় মোট ১৬টি প্রতিষ্ঠানকে ১৬ কোটি ডিম আমদানির অনুমতি দিলেও আমদানি করেছে মাত্র একটি প্রতিষ্ঠান।
জানা গেছে, এসব ডিমের আমদানিমূল্য ধরা হয়েছে ২৯৮৮ ইউএস ডলার, যা বাংলাদেশি অর্থে ৩ লাখ ২৮ হাজার ৭০০ টাকা। প্রতি পিস ডিম ভারতে ক্রয়মূল্য দাঁড়িয়েছে ৫ টাকা ৩০ পয়সা। শুল্ক ১ টাকা ৮০ পয়সা। সঙ্গে যুক্ত হয়েছে ভারতীয় অংশের পরিবহন খরচ। তাতে মোট দাম পড়েছে ৭ টাকা ২৩ পয়সা। অন্যান্য খরচ মিলিয়ে খোলাবাজারে এসব ডিম প্রতি পিস ১০ টাকার মধ্যে বিক্রি সম্ভব হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
বেনাপোল স্থলবন্দরের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক রেজাউল করিম জানান, ভারত থেকে আমদানি করা ডিমের চালানটি বন্দর থেকে দ্রুত ছাড়করণে সহযোগিতা করছে কর্তৃপক্ষ।
Discussion about this post