গুরুত্বপূর্ণ অর্থ বিল পাস করে অবশেষে শাটডাউন এড়াতে পেরেছে যুক্তরাষ্ট্র। স্থানীয় সময় শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) মার্কিন হাউজ অব রিপ্রেজেন্টেটিভে বিলটি পাস হয়। এদিন রিপাবলিকানদের পাশাপাশি ডেমোক্র্যাট সদস্যরাও বিলটির পক্ষে অবস্থান নেন। প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের স্বাক্ষর করলেই এটি চূড়ান্ত হবে।
সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, নতুন এই বিলটি পাস না হলে শনিবার থেকে শাটডাউনের মুখে পড়তো মার্কিন সরকার।
শাটডাউনে পড়লে কিছু জরুরি সেবা বাদে অন্যান্য সেবা খাতের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যেত। এতে অনেক সরকারিকর্মীর বেতনও পর্যন্ত বন্ধ যাওয়ার শঙ্কা ছিল।
বড়দিন এবং ইংরেজি নববর্ষের ছুটির মুখে লাখ লাখ মার্কিনির দুর্ভোগের কারণ হয়ে উঠতে পারতো ফেডারেল গভর্নমেন্ট শাটডাউন।
কংগ্রেসের নিম্নকক্ষে বিলটি পাস হওয়ায় (৩৬৬–৩৪ ভোট) আগামী মধ্য-মার্চ পর্যন্ত মার্কিন ফেডারেল সংস্থাগুলোর তহবিলের জোগান অব্যাহত থাকার সম্ভাবনা তৈরি হলো। যদিও এখন কংগ্রেসের উচ্চকক্ষ সিনেটে এ রাষ্ট্রীয় অর্থবিলকে (সরকারি ব্যয় প্যাকেজ) অনুমোদন পেতে হবে।
হাউজ স্পিকার জনসনের দাবি, নতুন প্রশাসন সম্পূর্ণ ক্ষমতা হাতে নেয়ার আগে পরিস্থিতি সামাল দেয়ার জন্য এই বিলটি গুরুত্বপূর্ণ। তবে, রিপাবলিকানরা পার্লামেন্টের সম্পূর্ণ দায়িত্ব হাতে নিলে পরিস্থিতি ‘অন্যরকম’ হবে বলে মনে করেন মার্কিন কংগ্রেসের এই শীর্ষ রিপাবলিকান।
এর আগে ডোনাল্ড ট্রাম্পের আহ্বানের পরও (হাউজ অব রিপ্রেজেন্টেটিভ) প্রতিনিধি পরিষদে যুক্তরাষ্ট্রে শাটডাউন এড়াতে আনা সংশোধিত বিল পাশে ব্যর্থ হয় রিপাবলিকানরা। এমনকি দলটির কিছু প্রতিনিধিও বিলের বিপক্ষে ভোট দেন।
বিলটি পাসে সংসদের নিম্নকক্ষ হাউজ অব রিপ্রেজেন্টেটিভসে দুই-তৃতীয়াংশ সমর্থন প্রয়োজন ছিল। ভোটাভুটির পর ডেমোক্রেটিক পার্টির কংগ্রেস সদস্য বেনি থম্পসন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেয়া এক পোস্টে লেখেন, ‘আজ আমাদের ডেমোক্র্যাট সদস্যরা বিভক্তি নয়; বরং সহযোগিতা করার পক্ষে তাদের যে প্রতিশ্রুতি, তা জোরালভাবে রক্ষা করলেন। যুক্তরাষ্ট্রের জনগণ এমন একটি সরকার চায়, যা তাদের জন্য কাজ করবে।’
এম এইচ/
Discussion about this post