ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপসের ২৭টি ব্যাংক হিসাবে তার জ্ঞাত আয়ের সাথে অসঙ্গতিপূর্ণ ৫৩৯.১৬ কোটি টাকা ও ৫.১৭ লাখ মার্কিন ডলারের সন্দেহজনক লেনদেনের তথ্য পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এই লেনদেন ২০১৩ সালের ২২ সেপ্টেম্বর তারিখ থেকে ২০২৪ সালের ১৯ আগস্টের মধ্যে হয়েছে।
এ ছাড়া ৭৩.১৯ কোটি টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে দুদক।
আজ রোববার (৫ জানুয়ারি) দুদকের মহাপরিচালক আক্তার হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, শেখ ফজলে নূর তাপস ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে নিজের ক্ষমতার অপব্যবহার করেন। বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে আয়ের উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ ৭৩ কোটি ১৯ লাখ ৬৭ হাজার ৩৭ টাকা মূল্যের সম্পদের মালিকানা অসাধু উপায়ে অর্জন করে ভোগদখলে রাখেন। তার নামের ২৭টি ব্যাংক হিসাবে ২০১৩ সালের ২২ সেপ্টেম্বর থেকে ২০২৪ সালের ১৯ আগস্ট পর্যন্ত জ্ঞাত আয়ের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ ৩০৪ কোটি ৩৩ লাখ ৫৮ হাজার ৫২৮ টাকা জমা এবং ২৩৪ কোটি ৮২ লাখ ৬৬ হাজার ৭৫০ টাকা উত্তোলন করেন। এছাড়াও ৫ লাখ ১৭ হাজার ৫২৭ মার্কিন ডলারের অস্বাভাবিক লেনদেন করেন। এ কারণে তার বিরুদ্ধে দুদক ও মানিলন্ডারিং আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
অপরদিকে তার স্ত্রী আফরিন তাপস স্বামী শেখ ফজলে নূর তাপসের সহায়তায় নিজের ৯টি ব্যাংক ব্যাংক হিসাবে ৭০ কোটি ৮৯ লাখ ৯৩ হাজার ৬৬৯ টাকা এবং দুই লাখ দুই হাজার ২৫৯ মার্কিন ডলারের অস্বাভাবিক লেনদেন করেছেন। এছাড়াও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত ৬ কোটি ৪০ লাখ ৮৯ হাজার ৯৮ টাকা মূল্যের সম্পদের মালিকানা অর্জন করেন। যে কারণে তার বিরুদ্ধেও দুদক আইন ও মানিলন্ডারিং আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
এ ইউ/
Discussion about this post