অভিবাসী নীতি-বিরোধী বিক্ষোভ দমনে এবার যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেসে ৭০০ মেরিন সেনা মোতায়েন করেছে ট্রাম্প প্রশাসন। পরিস্থিতি সামাল দিতে এই পদক্ষেপ বলে জানিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।
ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্তকে সম্পূর্ণ অযৌক্তিক বলে মন্তব্য করেছেন ক্যালিফোর্নিয়ার গর্ভনর।
এদিকে, সংবাদ সংগ্রহের সময় সাংবাদিকের ওপর হামলার ঘটনার নিন্দা জানিয়েছে আন্তর্জাতিক মহল। বিক্ষোভের ৪ দিনে তিন শতাধিক মানুষকে আটক করা হয়েছে।
অভিবাসন বিরোধী তল্লাশির জেরে ব্যাপক বিক্ষোভ চলছে লস অ্যাঞ্জেলসে। বিক্ষোভকারীদের ঠেকাতে এবার ন্যাশনাল গার্ডের পাশাপাশি ৭০০ মেরিন সেনা মোতায়েন করেছে ট্রাম্প প্রশাসন।
অন্যান্য বাহিনীকে সহায়তা করতে তাদের মোতায়েন করা হয়েছে বলে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনী বিবৃতিতে জানিয়েছে। এর আগে বিক্ষোভ প্রতিরোধে ন্যাশনাল গার্ডের ২ হাজার ১শ’ সদস্য মোতায়েন করা হয়।
এদিকে, মেরিন সেনা মোতায়েনের নিন্দা জানিয়েছেন ক্যালিফোর্নিয়ার গভর্নর গ্যাভিন নিউসম। এ সিদ্ধান্তকে অযৌক্তিক বলে অভিহিত করেছেন তিনি। তাছাড়া, রাজ্য প্রশাসনের মতামত না নিয়েই ন্যাশনাল গার্ড মোতায়েনের নির্দেশ দেয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে মামলা করার পরিকল্পনা করছেন তিনি।
আর ট্রাম্প বলেছেন, বিক্ষোভ দমনে যা যা পদক্ষেপ নেয়া দরকার, সব নেয়া হবে।
অন্যদিকে, বিক্ষোভের খবর কভার করার সময় রাবার বুলেটের আঘাতে অস্ট্রেলিয়ার টিভি সাংবাদিক লরেন টোমাসি আহতের ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছে আন্তর্জাতিক মহল। একই সময়ে ব্রিটিশ আলোকচিত্রী নিক স্টার্ন স্পঞ্জও গুরুতর আহত হন। পোশাকের উপর সুস্পষ্টভাবে প্রেস লেখা থাকলেও পুলিশ তাদের লক্ষ্যবস্তু করে বলে অভিযোগ করা হয়।
রোববার গাড়িতে আগুন লাগানো হয় এবং পুলিশ অভিযোগ করে যে বিক্ষোভকারীরা অশ্বারোহী টহল দলের বিরুদ্ধে দাহ্য বস্তু ব্যবহার করেছে। পরে দাঙ্গা নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ সদস্যরা ফ্ল্যাশ ব্যাং গ্রেনেড ও মরিচ গুঁড়ার স্প্রে ব্যবহার করে জনতাকে ছত্রভঙ্গ করে। এই সহিংসতার মধ্যেই ১০১ ফ্রিওয়ে সাময়িকভাবে বন্ধ এবং লুটপাটের খবরও পাওয়া যায়।
এস এইচ/
Discussion about this post