চলতি বছরে আরও কঠিন হতে যাচ্ছে জার্মানির অভিবাসন প্রক্রিয়া। এর নীতিমালায় বেশকিছু পরিবর্তন আনতে যাচ্ছে দেশটির সরকার। এতে আশ্রয়প্রার্থীদের জন্য কঠিন হলেও সহজ হবে দক্ষ কর্মীদের অভিবাসন।
এ বিষয়ে জার্মানির চ্যান্সেলর ওলাফ শলজ বলেন, `নতুন বছরটি আশ্রয় আবেদন প্রত্যাখ্যাতদের জন্য কঠিন হতে যাচ্ছে।’ গেল ডিসেম্বরে ডেয়ার স্পিগেল ম্যাগাজিনকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, যাদের আবেদন গ্রহণ করা হয়নি, তাদের নিজ নিজ দেশে ফেরত পাঠানোর পক্ষে অবস্থান নিয়েছে জার্মান সরকার।
সরকারি হিসাবে ২০২৩ সালে সাড়ে ১৩ হাজারের বেশি মানুষকে ফেরত পাঠিয়েছে জার্মানি। ‘প্রত্যাবাসন উন্নয়ন আইন’ নামে একটি বিল পার্লামেন্টে পাস হলে এ সংখ্যাটি আরও বাড়তে পারে বলে ধারণা সংশ্লিষ্টদের। এ আইনে আগে থেকে ফেরত পাঠানোর ঘোষণা দেয়া হবে না; পাশাপাশি যাদের ফেরত পাঠানো হবে তাদের তল্লাশি ও ব্যক্তিগত সম্পত্তি জব্দের বাড়তি ক্ষমতা পাবে পুলিশ। অপরাধীদের ক্ষেত্রে প্রত্যাবাসন আরও দ্রুত হবে।
এখানেই শেষ নয়, ব্যাংকের মাধ্যমে ক্যাশ বা নগদ অর্থ দেয়ার বদলে কার্ড ব্যবস্থা চালুর পরিকল্পনা করছে জার্মানির বিভিন্ন রাজ্য। যাতে আশ্রয় প্রার্থীরা তাদের পরিবার বা অন্য কাউকে অর্থ পাঠাতে না পারে।
এদিকে, অভিবাসন প্রক্রিয়ায় পরিবর্তন আনার সঙ্গে সঙ্গে আবেদন প্রক্রিয়ায় গতি আনতে চায় জার্মানি। বর্তমানে একটি আশ্রয় আবেদনের প্রক্রিয়া শেষ হতে দুবছরের বেশি পর্যন্ত সময় লাগে।
প্রস্তাবিত আইনে তা তিন মাস থেকে ছয় মাসে নামিয়ে আনার কথা বলা হয়েছে। অন্যদিকে, আশ্রয়প্রার্থীদের জন্য পরিস্থিতি কঠিন হয়ে উঠলেও এর মধ্যে দক্ষ কর্মীদের আকর্ষণে সম্প্রতি আইনে বেশকিছু সংস্কার আনা হয়েছে। ভাষাগত দক্ষতা ও পেশাগত অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে পয়েন্ট ব্যবস্থা চালু করা হচ্ছে। যার মাধ্যমে অভিবাসীরা চাকরি খোঁজার জন্য এক বছরের ভিসা পাবেন।
অভিবাসন নীতি সংস্কারের আওতায় আগামী মার্চ থেকে বিদেশিরা দক্ষতার ভিত্তিতে সরাসরি জার্মানিতে গিয়ে চাকরিতে যোগ দিতে পারবেন। এমনকি সহজ হবে আবেদনকারীদের পরিবারের সদস্য আনার প্রক্রিয়াও। ব্যয় বহনের সামর্থ্যের প্রমাণ দিতে পারলে কর্মীরা তাদের ওপর নির্ভরশীলদের নিয়ে তিন বছর বসবাসের অনুমতি পাবেন।
এফএস/
Discussion about this post