উত্তরপ্রদেশের অযোধ্যার বাবরি মসজিদের পরিবর্তে ধন্নিপুরে পাওয়া পাঁচ একর জমিতে তৈরি হতে যাওয়া নতুন মসজিদ নির্মাণ করা হবে। অযোধ্যায় রাম মন্দিরের উদ্বোধনের প্রস্তুতি চলছে যখন তখন এই খবর পাওয়া গেল।
অযোধ্যার বাবরি মসজিদের জায়গায় জেলার ধন্নিপুরে যে পাঁচ একর জমি দেওয়া হয়েছে সেই জমিতেই তৈরি হতে চলেছে নতুন এই মসজিদ। যার নাম হল মোহম্মদ বিন আবদুল্লাহ। অযোধ্যার রাম মন্দির থেকে প্রায় ২৫ কিলোমিটার দূরে এই মসজিদের ভিত্তিপ্রস্তর দ্রুতই স্থাপন করা হবে। এই মসজিদের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন মক্কার ইমাম-ই-হারাম। এই মসজিদটি শুধু ভারতের সবচেয়ে বড় মসজিদই হচ্ছে না, এটি তাজমহলের থেকেও সুন্দর হবে বলে দাবি করেছে মসজিদ কমিটি।
মসজিদটি নির্মাণের জন্য ২০২০ সালের ২৯ জুলাই ইন্দো-ইসলামিক কালচারাল ফাউন্ডেশন নামে একটি ট্রাস্ট গঠিত হয়েছিল। এর আগে সিদ্ধান্ত হয়েছিল এই ট্রাস্ট মসজিদটি নির্মাণ করবে। গত অক্টোবরে মুম্বইয়ে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে মসজিদটির নাম মোহম্মদ বিন আবদুল্লাহ রাখার সিদ্ধান্ত হয়। আলেম এবং ইন্দো-ইসলামিক কালচারাল ফাউন্ডেশনের সভাপতি জুফর আহমেদ ফারুকীও এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। সেই বৈঠকে মসজিদের নতুন নকশাও প্রকাশ করা হয়। মুম্বাইয়ের বিজেপি নেতা এবং মোহম্মদ বিন আবদুল্লাহ ডেভেলপমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান হাজি আরাফাত শেখ বলেছেন, অযোধ্যার ধন্নিপুরে যে নতুন মসজিদ তৈরি হবে তা হবে ভারতের বৃহত্তম। বিশ্বের সবচেয়ে বড় কোরআন শরীফ থাকবে এই মসজিদে। এর উচ্চতা হবে ২১ ফুট এবং প্রস্থ হবে ৩৬ ফুট। তিনি আরও জানান, মসজিদটিতে পাঁচটি মিনার থাকবে। এগুলি ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভের প্রতীক। সেগুলি হল–কলমা, নামাজ, রোজা, হজ এবং যাকাত।
শেখের দাবি, তিনি ফাউন্ডেশনের ট্রাস্টি এবং এখন তাকে মসজিদের উন্নয়ন কমিটির প্রধান করা হয়েছে। মসজিদ কমপ্লেক্সে একটি ক্যান্সার হাসপাতাল, স্কুল ও কলেজ, একটি জাদুঘর, একটি গ্রন্থাগার এবং একটি সম্পূর্ণ নিরামিষ রান্নাঘর থাকবে। এখানে দর্শনার্থীদের বিনামূল্যে খাবার দেওয়া হবে।
শেখ বলেন, এই মসজিদের একটি বড় আকর্ষণ হবে ওজুখানার পাশে নির্মিত বিশাল অ্যাকুরিয়াম। এর সৌন্দর্য তাজমহলকে ছাড়িয়ে যাবে। তিনি আরও জানান, সন্ধ্যা যত ঘনিয়ে আসবে, মাগরিবের আজানের সঙ্গে মসজিদের ঝর্ণাগুলো প্রাণবন্ত হয়ে উঠবে। যা তাজমহলের সৌন্দর্যকেও ছাড়িয়ে যাবে। সবাই এখানে প্রার্থনা না করলেও সব ধর্মের মানুষ শান্তি ও সম্প্রীতির জন্য এই স্মৃতিসৌধ দেখতে আসবেন।
সূত্রঃ হিন্দুস্তান টাইমস
Discussion about this post