অস্ট্রেলিয়ার কাছে তাজা গোলাগুলির সামরিক মহড়া চালানোর ঘোষণা দিয়েছে চীন। অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের মধ্যকার আন্তর্জাতিক জলসীমায় এ মহড়ার কারণে ওই পথে চলাচলকারী উড়োজাহাজগুলোকে গতিপথ পরিবর্তন করতে হচ্ছে বলে জানিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী রিচার্ড মারেলস।
চীনের এই মহড়ায় অংশ নিতে তাসমান সী তে উপস্থিত হয়েছে তিনটি নৌ জাহাজ, যা বিরল ঘটনা। নৌ-জাহাজের এই উপস্থিতির কারণে ওই অঞ্চলের দেশগুলো সাম্প্রতিক দিনগুলোতে সতর্কাবস্থায় রয়েছে। অস্ট্রেলিয়া এ মহড়াকে নজিরবিহীন না বললেও ‘অস্বাভাবিক’ বলে অভিহিত করেছে।
চীনের নৌবাহিনী শুক্রবারেই আন্তর্জাতিক জলসীমায় অস্ট্রেলিয়ার নিউ সাউথ ওয়েলস উপকূলে এই মহড়া শুরু করা হচ্ছে জানিয়ে এক সংক্ষিপ্ত নোটিশ দিয়েছে। অস্ট্রেলিয়া এ নোটিশ পেয়েই উদ্বেগ প্রকাশ করে। কান্তাস, এমিরেটস এবং এয়ার নিউজিল্যান্ড এয়ারলাইন্সগুলোও তাদের উড়োজাহাজের উড্ডয়ন পথ বদল করে।
মহড়া চালাতে চীনের পিপলস লিবারেশন আর্মির নৌবাহিনীর ফ্রিগেট জাহাজ, ক্রুজার এবং ট্যাংকার জাহাজ গত সপ্তাহেই অস্ট্রেলিয়ার কাছে সাগরে প্রবেশ করেছে এবং এ সপ্তাহে জাহাজগুলো দেশটির পূর্ব উপকূলে গেছে।
জাহাজগুলোর ওপর নজর রেখেছে অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের নৌ ও বিমান বাহিনী। চীন বলছে, তাদের এই মহড়া আন্তর্জাতিক আইন মেনে করা হচ্ছে।
অস্ট্রেলিয়ার কান্তাস এয়ারলাইনস জানিয়েছে, তারা তাদের উড়োজাহাজগুলোর গতিপথ সাময়িকভাবে পরিবর্তন করেছে এবং অন্যান্য এয়ারলাইন্সও একই কাজ করেছে।
বর্তমানে চীনা নৌ জাহাজগুলো অস্ট্রেলিয়ার নিউ সাউথ ওয়েলস উপকূলের ৩৪০ নটিক্যাল মাইল পূর্বে রয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। যদিও জাহাজগুলো এক পর্যায়ে সিডনির ১৫০ নটিক্যাল মাইল কাছে চলে আসে- শোনা গেছে এমন কথাও।
চীন কেন ওই অঞ্চলে তাজা গোলাগুলির মহড়া চালাতে চায় এবং বাণিজ্যিক উড়োজাহাজ চলাচলে বিঘ্ন এড়াতে আরও নোটিশ কেন দেওয়া হয়নি তা জানতে চেয়েছে অস্ট্রেলিয়া।
সূত্র: বিবিসি, রয়টার্স
এ ইউ/
Discussion about this post