আইসিসি র্যাঙ্কিং, মুখোমুখি পরিসংখ্যান বা শক্তির বিচারে জিম্বাবুয়ের চেয়ে ভালোমতোই এগিয়ে বাংলাদেশ। তবে এসবের বিচারে কোনো প্রতিপক্ষকে দুর্বল ভাবতে চান না নাজমুল হোসেন শান্ত। আফ্রিকার দলটিকে বিশ্বের অন্যান্য শক্তিশালী দলের মতো ভেবেই সামনের সিরিজটি খেলতে চান বাংলাদেশ অধিনায়ক।
জিম্বাবুয়ে তুলনামূলক কিছুটা দুর্বল দল হলেও, তাদের বিপক্ষে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজের জন্য পূর্ণ শক্তির দল ঘোষণা করেছে স্বাগতিকরা। প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেন বলেছেন, দীর্ঘ দিন পর টেস্ট খেলতে নামায় কোনো পরীক্ষানিরীক্ষার পথে হাঁটেননি তারা। আর শান্তর ভাবনায় মূলত গত বছরের ভালো খেলার ধারাবাহিকতা ধরে রাখার পরিকল্পনা।
লাল বলের ক্রিকেটে গত বছর পাকিস্তান সফরে গিয়ে স্বাগতিকদের হোয়াইটওয়াশ করে বাংলাদেশ এবং বছরের শেষ দিকে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে গিয়েও তারা জিততে পারে একটি ম্যাচ।
বিপরীতে, এই সংস্করণেই ঘরের মাঠে তাদের পারফরম্যান্স ছিল নাজুক; শ্রীলঙ্কা ও দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে হয়েছিল হোয়াইটওয়াশড। সব মিলিয়ে দেশের মাঠে সবশেষ পাঁচ টেস্টে পরাজয়ের তেতো স্বাদ পেয়েছে বাংলাদেশ।
জিম্বাবুয়ে সিরিজ দিয়ে গত ডিসেম্বরের পর আবার টেস্ট খেলতে নামবে বাংলাদেশ। প্রায় সাড়ে ৪ মাস পর এই সংস্করণে খেলার আগে প্রতিপক্ষকে হালকা করে দেখার সুযোগ নেই বলে মনে করেন শান্ত।
ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের বিপক্ষে ম্যাচের আগের দিন অনুশীলনের ফাঁকে যথাযথ প্রস্তুতি নিয়ে জিম্বাবুয়ের মুখোমুখি হওয়ার গুরুত্ব মনে করিয়ে দেন আবাহনী লিমিটেডের শান্ত, এবার দেশের ঐতিহ্যবাহী এই ক্লাবকেও নেতৃত্ব দিচ্ছেন তিনি।
“প্রতিটি আন্তর্জাতিক সিরিজেই চ্যালেঞ্জ থাকে। এখানেও অবশ্যই চ্যালেঞ্জ থাকবে। এর ভিন্ন কোনো চিন্তা থাকবে না। একটা বড় দলের সঙ্গে খেলার সময় যেই চিন্তাভাবনা বা চাপ থাকে, সেই চাপটাই থাকবে। গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, কীভাবে আমরা ভালোভাবে প্রস্তুতি নিয়ে ম্যাচটা শুরু করতে পারি।”
দুই টেস্ট খেলতে আগামী ১৫ এপ্রিল বাংলাদেশে আসবে জিম্বাবুয়ে। যে কোনো বিবেচনায় অতিথিদের চেয়ে এগিয়ে বাংলাদেশ। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সবশেষ আট টেস্টে মাত্র একটি হেরেছে তারা। সবশেষ তিন টেস্টেই বিশাল ব্যবধানে জিতেছে তারা।
তবে নিজেদের বেশি বড় ভাবার পক্ষে নন শান্ত। বরং ভালো খেলার দিকে মনোযোগ দিতে চান বাঁহাতি ব্যাটসম্যান।
“কোনো দলই ছোট নয়, আমি বারবারই বলছি। ক্রিকেটাররাও এমন কিছু চিন্তা করছে না। আমি আশা করব, সাধারণ মানুষ বা মিডিয়াও এভাবে দেখছে না যে ছোট দল বা বড় দল। আমরা কত ভালো ক্রিকেট খেলতে পারি, এটা গুরুত্বপূর্ণ।”
টেস্ট ক্রিকেটে এগিয়ে যাওয়ার জন্য কোনো দলকে হালকাভাবে না নিয়ে প্রতিটি সিরিজ সমানভাবে গুরুত্ব দিয়ে খেলার দিকে জোর দেন বাংলাদেশ অধিনায়ক।
“গত বছর যদি টেস্ট ক্রিকেট দেখেন, আমাদের আগের চেয়ে উন্নতি হয়েছে। আমার যতটুকু মনে পড়ে, ৪ (আসলে ৩টি) ম্যাচ জিতেছিলাম। এই বছর আরও ৬টা টেস্ট ম্যাচ আছে, গত বছরের চেয়ে কীভবে আমরা ভালো ফল আনতে পারি সেটা গুরুত্বপূর্ণ। তাহলে আমাদের টেস্ট ক্রিকেট এগিয়ে যাবে।”
“আমরা যেন ভাগাভাগি না করি যে, জিম্বাবুয়ে বা অস্ট্রেলিয়া বা দক্ষিণ আফ্রিকা… প্রতিটি ম্যাচকে যেন একটি আন্তর্জাতিক ম্যাচ হিসেবে চিন্তা করি।”
এম এইচ/
Discussion about this post