মো. নাহিদ ইসলাম, কাতার:
কাতারের রাজধানী দোহার লুসেইল ক্রিসেন্ট পার্কের প্রাকৃতিক পরিবেশে ইন্সটিটিউট অব ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ – আইবি কাতার চ্যাপ্টারের উদ্যোগে বার্ষিক বনভোজন এর আয়োজন করা হয়েছে।
কাতারে অবস্থানরত বাংলাদেশী প্রকৌশলীদের পরিবার ও বাংলাদেশ দূতাবাসের কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিতিতে কেক কেটে দিনব্যাপী বিভিন্ন অনুষ্ঠানমালার উদ্বোধন করেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ও কাতারে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোঃ নজরুল ইসলাম। সকালের নাস্তার পর প্রকৌশলী সাইফুল ইসলামের পরিচালনায় শিশু, কিশোর, মহিলা ও পুরুষদের বিভিন্ন প্রতিযোগিতা সম্পন্ন হয়।
পাঁচ বছরের নিচে শিশুদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় প্রথম হয় ইরহাম, দ্বিতীয় ইরহাম ও তৃতীয় হয় জুয়ারিয়া। বালিকাদের ঝুড়িতে বল নিক্ষেপ প্রতিযোগিতায় প্রথম হয় ইরহাম, দ্বিতীয় সারা এবং তৃতীয় হয় মানহা।
বালকদের বল নিক্ষেপ প্রতিযোগিতায় প্রথম হয় রেহান, দ্বিতীয় আবরার ও তৃতীয় হয় অদিব। মহিলাদের প্রতিযোগিতায় প্রথম হন মিসেস বনি, দ্বিতীয় মিসেস বন্যা ও তৃতীয় হন মিসেস সাদিয়া। পুরুষদের বাস্কেট বল প্রতিযোগিতাায় প্রথম হন প্রকৌশলী রোবেল, দ্বিতীয় প্রকৌশলী সোলায়মান ও তৃতীয় প্রকৌশলী মোস্তাক। জুম্মার নামাজের বিরতির পর মধ্যাহ্ন।ভোজের আয়োজন করা হয়। আসর নামাজের পর র্যাফেল ড্র ও বিঙ্গো খেলা শেষে প্রকৌশলী সৈয়দ মুজিব আহমদকে বিদায় সংবর্ধনা প্রদান ও পুরস্কার বিতরণের আয়োজন করা হয়।
বিদায় সংবর্ধনা প্রদান ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী বি.এম. কামাল হোসেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী মোঃ আবদুল আওয়াল। বিদায়ী সহকর্মীর উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সাবেক দুই চেয়ারম্যান প্রকৌশলী শফিকুল আলম ও প্রকৌশলী জালাল আহমদ।
প্রকৌশলী শামসুর রহামানের তত্ত্বাবধানে বিদায়ীকে সদস্যকে ক্রেস্ট ও খেলাধুলার বিভিন্ন ইভেন্টের বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন রাষ্ট্রদূত।
অনুষ্ঠানের সাফল্যের জন্য যে সকল প্রকৌশলী অবদান রেখেছেন তাঁরা হলেন – কার্যনির্বাহী সদস্য মো. আবদুল আলিম, মো. মোজাম্মেল হক, মো. সাইফুল ইসলাম, মো. মাহমুদুল হাসান, মো. আনসার আলী মণ্ডল, মো. মোস্তাক আহমদ ও মো. রাফিউল বিশ্বাস। মাগরিবের নামাজের পূর্বে অনুষ্ঠানের পরিসমাপ্তি ঘটে।
এস আর/
Discussion about this post