তুহিন ভূঁইয়া, স্টাফ রিপোর্টার: স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদের কনিষ্ঠ সন্তান তানজিম আহমেদ সোহেল তাজ। পারিবারিক ভাবেই তিনি আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত। আওয়ামী রাজনীতি যেনো তার রক্তের রন্ধে রন্ধে। তিনি দলটি থেকে নির্বাচন করে সংসদে দুইবার প্রতিনিধিত্ব করেছেন। সেই সাথে দায়িত্ব পালন করেছিন দুইটি মন্ত্রণালয়ের।
আওয়ামী লীগের মনোনয়নে ২০০১ সালের নির্বাচনে সোহেল তাজ গাজীপুরের কাপাসিয়া থেকে নির্বাচিন হয়েছিলেন। তৎকালীন সময় তিনি যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেয়েছিল। সুনামের সাথে দায়িত্বও পালন করেছিলেন। পরর্বতীতে ২০০৮ সালে আবারও নির্বাচন করে জয়লাভ করেন। আওয়ামী লীগ সরকার তাকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী হিসেব দায়িত্ব প্রদান করেন। দায়িত্ব পাওয়ার ৪ মাসের মাথায় ব্যক্তিগত কারণে পদত্যাগ করেন তিনি।
সোহেল তাজ ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে ২০১২ সালে সংসদ সদস্য পদ থেকেও পদত্যাগ করেছিল। কোটা বিরোধী আন্দোলনের মুখে দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেই সাথে দ্বাদশ সংসদের ৩৫০ এমপিই গাঁ ঢাকা দিয়েছে।
তবে আওয়ামী লীগের হাল কে ধরেবে এ নিয়ে শুরু হয়েছে সাধারণ মানুষের মাঝ নানা রকমের গুঞ্জন। বিভিন্নজন বিভিন্ন মতামত দিচ্ছে। আবারও অনেকেই নাম উচ্চারণ করেও বলছে কে নিচ্ছে দলটির দায়িত্ব। দলের এই কান্তি লগ্নে অনেকের মুখেই শোনাযাচ্ছে সোহেল তাজ নিচ্ছে আওয়ামী লীগের দায়িত্ব।
তবে এবার দলটির দায়িত্ব নেওয়ার বিষয়টি পরিষ্কার করলেন তিনি। বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার কাছে নিজের নিরাপত্তা জনিত বিষয়ে আলোচনা শেষে সাংবাদিকরা সোহেল তাজের কাছে জানতে চান যে তিনি আওয়ামী লীগের রাজনীতির হাল ধরছেন কি না?
সোহেল তাজ গণমাধ্যমকে পরিষ্কার ভারে জানিয়ে দিয়েছেন দেশের এই পঁচা-নোংরা-নষ্ট রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে ফিরতে চান না তিনি। তিনি আবারও বলেন, আমার স্পষ্ট কথা, আমি বারবার বলেছি আমার রাজনীতিতে আসার কোনো সম্ভাবনা নেই৷ এই পঁচা-নোংরা-নষ্ট রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে ফিরতে চাই না।
এর আগে প্রধান উপদেষ্টা, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা এবং সেনাবাহিনী প্রধানের দৃষ্টি আকর্ষণ করে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে একটি পোস্ট করেছেন সোহেল তাজ। সেই পোস্টে তাকে ‘গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা অনুসরণ এবং পথরোধ করেছেন’ বলে অভিযোগ করেন সাবেক এই স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী।
Discussion about this post