শনিবার, ১০ মে, ২০২৫
২৭শে বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ১২ই জিলকদ, ১৪৪৬ হিজরি   🕒
➔ English
➔ Arabic
No Result
View All Result
প্রবাস খবর
  • প্রচ্ছদ
  • বাংলাদেশ
  • প্রবাস
    • প্রবাস অর্থনীতি
    • প্রবাস রাজনীতি
    • প্রবাস দূতাবাস
    • প্রবাস জীবন-যাপন
    • প্রবাস সফলতা
    • প্রবাস জীবনের গল্প
    • প্রবাস কমিউনিটি
    • প্রবাস খেলা
    • প্রবাস বিনোদন
    • প্রবাস সাহিত্য
    • প্রবাস ইতিহাস ও ঐতিহ্য
    • প্রবাস সাক্ষাৎকার
    • প্রবাস শিক্ষা
    • প্রবাস ভ্রমন
    • প্রবাস কণ্ঠ
    • প্রবাস হেল্প কর্নার
    • প্রবাস আলোকচিত্র
    • প্রবাস ভাষা
    • ভিডিও সংবাদ
    • প্রবাস ফোরাম
    • প্রবাস ট্রেনিং সেন্টার
    • প্রবাসে চাকরি
    • প্রবাস বিশেষ
  • এশিয়া
  • মধ্যপ্রাচ্য
  • ইউরোপ
  • আমেরিকা
  • আফ্রিকা
  • প্রবাসী মন্ত্রণালয়
  • বিএমইটি
  • রিক্রুটিং এজেন্সী
  • বায়রা
  • পাসপোর্ট
  • বিমানবন্দর
  • হজ্জ
  • প্রবাস বিশেষ
প্রবাস খবর
  • প্রচ্ছদ
  • বাংলাদেশ
  • প্রবাস
    • প্রবাস অর্থনীতি
    • প্রবাস রাজনীতি
    • প্রবাস দূতাবাস
    • প্রবাস জীবন-যাপন
    • প্রবাস সফলতা
    • প্রবাস জীবনের গল্প
    • প্রবাস কমিউনিটি
    • প্রবাস খেলা
    • প্রবাস বিনোদন
    • প্রবাস সাহিত্য
    • প্রবাস ইতিহাস ও ঐতিহ্য
    • প্রবাস সাক্ষাৎকার
    • প্রবাস শিক্ষা
    • প্রবাস ভ্রমন
    • প্রবাস কণ্ঠ
    • প্রবাস হেল্প কর্নার
    • প্রবাস আলোকচিত্র
    • প্রবাস ভাষা
    • ভিডিও সংবাদ
    • প্রবাস ফোরাম
    • প্রবাস ট্রেনিং সেন্টার
    • প্রবাসে চাকরি
    • প্রবাস বিশেষ
  • এশিয়া
  • মধ্যপ্রাচ্য
  • ইউরোপ
  • আমেরিকা
  • আফ্রিকা
  • প্রবাসী মন্ত্রণালয়
  • বিএমইটি
  • রিক্রুটিং এজেন্সী
  • বায়রা
  • পাসপোর্ট
  • বিমানবন্দর
  • হজ্জ
  • প্রবাস বিশেষ
No Result
View All Result
প্রবাস খবর
No Result
View All Result
  • প্রচ্ছদ
  • বাংলাদেশ
  • প্রবাস
  • এশিয়া
  • মধ্যপ্রাচ্য
  • ইউরোপ
  • আমেরিকা
  • আফ্রিকা
  • প্রবাসী মন্ত্রণালয়
  • বিএমইটি
  • রিক্রুটিং এজেন্সী
  • বায়রা
  • পাসপোর্ট
  • বিমানবন্দর
  • হজ্জ
  • প্রবাস বিশেষ

আওয়ামী লীগের ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী

প্রবাস খবর ডেস্ক প্রবাস খবর ডেস্ক
রবিবার, ২৩ জুন, ৭:৪৩ অপরাহ্ণ
বিভাগ - মতামত
0 0
A A
আওয়ামী লীগের ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী
Share on FacebookShare on Twitter

আজ ২৩ জুন, আওয়ামী লীগের ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। উপমহাদেশের রাজনৈতিক দলের ইতিহাসে এ দলটি গণমানুষের কাছে একটি আদর্শ ও অনুভূতির নাম। বাংলাদেশে অসাম্প্রদায়িক, মানবিক ও মানুষের ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠায় আওয়ামী লীগ সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে নেতৃত্ব দিয়ে আসছে।

১৯৪৯ সালের ২৩ জুন বাঙালির মুক্তির সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নিয়ে আওয়ামী লীগের জন্ম। দ্বিজাতিতত্ত্বের ভিত্তিতে বিভক্ত পাকিস্তান জন্মের পর পরই ধর্মকে ব্যবহার করে রাষ্ট্রপরিচালনার নামে শোষণ, শাসন ও বাঙালি সংস্কৃতির ওপর আঘাত শুরু করে। ফলে বাঙালির মনে অল্প দিনেই ক্ষোভ দানা বাঁধতে থাকে। সেই সঙ্গে নব্য পাকিস্তানের জন্মতেই পাকিস্তান মুসলিম লীগে ভাঙনের সুর বেজে ওঠে। এ অবস্থায় মুসলিম লীগের প্রগতিশীল ধারাটি এগিয়ে যাওয়ার বিকল্পপথ খোঁজে।

এ অংশটি ১৫০ মোগলটুলির শওকত আলীর বাসভবনকে কেন্দ্র করে পূর্ববঙ্গ কর্মী শিবির নামে গড়ে তোলে। যার সঙ্গে জেলবন্দি শেখ মুজিবুর রহমানও যুক্ত ছিলেন। এ সংগঠনের প্রাথমিক সাংগঠনিক কমিটিতে ছিলেন মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী সভাপতি এবং শামসুল হক সম্পাদক। তারাই ২৩ ও ২৪ জুন রোজ গার্ডেনে দুই দিনব্যাপী সম্মেলনের আয়োজন করেন। এ সম্মেলনের মাধ্যমে নতুন রাজনৈতিক দল ‘পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগ’-এর জন্ম।

রাজনৈতিক দল হিসেবে আওয়ামী লীগের যাত্রাকে শাসকগোষ্ঠী ভালোভাবে গ্রহণ করেনি। নানা বাধাবিপত্তি ও সরকারি নির্যাতন শুরু করে। মওলানা ভাসানী, শামসুল হক, শেখ মুজিবুর রহমানসহ অনেকেই বিভিন্ন মামলায় কারাভোগ করেন। নির্যাতনে মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেন সাধারণ সম্পাদক শামসুল হক। জেল থেকে মুক্তি পেয়ে শেখ মুজিবুর রহমান দলের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক এবং সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন আতাউর রহমান। বঙ্গবন্ধু ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব নিয়ে আওয়ামীগকে সংগঠিত করেন। দলের ৩য় সম্মেলনে ‘আওয়ামী মুসলিম লীগ’ থেকে ‘মুসলিম’ শব্দটি বাদ দেয় দলটি।

১৯৫৪ সালে পূর্ববাংলা প্রাদেশিক পরিষদ নির্বাচনে হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী, মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ অন্য তিনটি বিরোধী গণতন্ত্রী দল নিয়ে সরকারবিরোধী নির্বাচনি জোট ‘যুক্তফ্রন্ট’ গঠন করে। ২১ দফার ভিত্তিতে যুক্তফ্রন্ট নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে। ‘রাষ্ট্রভাষার প্রশ্ন’ এবং ‘পূর্ববাংলার স্বায়ত্তশাসনের দাবি’ ছিল এ রাজনৈতিক মঞ্চের মূল বিষয়। এ নির্বাচনে যুক্তফ্রন্ট বিপুল ভোটে জয়লাভ করে। পাকিস্তানি শাসনামলের ২৪ বছরের মধ্যে আওয়ামী লীগ প্রাদেশিক ক্ষমতায় ছিল মাত্র ২ বছর (১৯৫৬-৫৮) এবং কেন্দ্রে ক্ষমতায় ছিল মাত্র ১৩ মাস (১২ সেপ্টেম্বর ১৯৫৬-১১ অক্টোবর ১৯৫৭)। এ কে ফজলুল হকের নেতৃত্বে যুক্তফ্রন্ট শরিক দল নিয়ে গঠিত সরকারকে ৫৬ দিনের মধ্যে বরখাস্ত করা হয়।

এর ফলে রাজনৈতিক অস্থিরতা দেখা দেয় এবং ঘন ঘন সরকার পরিবর্তন হতে থাকে। অন্যদিকে ১৯৫৭ সালে বৈদেশিক নীতিকে কেন্দ্র করে দলটি বিভক্ত হয়ে পড়ে। ফলে দলটি মারাত্মক সাংগঠনিক সমস্যার সম্মুখীন হয়। পাকিস্তানের বৈদেশিক নীতিকে কেন্দ্র করে সোহরাওয়ার্দী ও মওলানা ভাসানী মূলত ভিন্নমত পোষণ করেন। দলটির কাগমারি সম্মেলনে (৭-৮ ফেব্রুয়ারি ১৯৫৭) বিভক্তি সুস্পষ্ট হয়ে ওঠে। ১৮ মার্চ মওলানা ভাসানী আওয়ামী লীগ এবং এর সভাপতির পদ থেকে পদত্যাগ করেন। দলের ওয়ার্কিং কমিটির ৩৭ জন সদস্যের মধ্যে ৯ জন ভাসানীকে সমর্থন করেন। পরিণামে ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি নামে একটি নতুন দল জন্মলাভ করে এবং মওলানা ভাসানী এ দলের সভাপতি নির্বাচিত হন। এই সংকটময় মুহূর্তে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সংগঠনের দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। মাত্র ৯ মাস মন্ত্রিত্ব করার পর আওয়ামী লীগে পূর্ণকালীন সময় দেওয়ার জন্য তিনি মন্ত্রিত্ব থেকে পদত্যাগ (৩১ মে ১৯৫৭) করেন। মওলানা আবদুর রশীদ তর্কবাগীশ দলের সভাপতি নির্বাচিত হন।

বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ পূর্ব পাকিস্তানের স্বায়ত্তশাসন লাভের সংগ্রামে প্রধান দল হিসেবে আবির্ভূত হয়। ১৯৬৩ সালে সোহরাওয়ার্দী প্রধান প্রধান রাজনৈতিক দল নিয়ে ‘এনডিএফ’ নামে আইয়ুববিরোধী একটি মোর্চা গঠন করেন। সোহরাওয়ার্দীর মৃত্যুর পর শেখ মুজিব আওয়ামী লীগের প্রধান নেতা হন। ১৯৬৫ সালের ২ জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিত রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে আইয়ুব সরকারকে অপসারণের লক্ষ্যে ‘কপ’ নামে একটি রাজনৈতিক মোর্চা গঠন করা হয়। কপের দাবি ছিল রাষ্ট্রপতি শাসনব্যবস্থার স্থলে সংসদীয় গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার এবং আইয়ুব খানের মৌলিক গণতন্ত্র ব্যবস্থায় পরোক্ষ ভোটের স্থলে সর্বজনীন ভোটাধিকার প্রবর্তন। কিন্তু তথাকথিত মৌলিক গণতন্ত্রী দ্বারা ভোটাধিকার প্রয়োগের ফলে বিরোধী দল স্বভাবতই পরাজয় বরণ করে।

১৯৬৫ সালে পাক-ভারত যুদ্ধে পূর্ব পাকিস্তানের সামরিক প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তার অনুপস্থিতির বিষয়টি উন্মোচিত হয়ে পড়ে, যা পাকিস্তানের রাজনীতিতে নতুন গতি সঞ্চার করে। ১৯৬৬ সালে লাহোরে অনুষ্ঠিত বিরোধী দলসমূহের এক সম্মেলনে শেখ মুজিব আওয়ামী লীগের ঐতিহাসিক ছয় দফা কর্মসূচি উপস্থাপন করেন। এ কর্মসূচির প্রতি প্রাথমিক প্রতিক্রিয়া ছিল মিশ্র এবং অনেকেই সরাসরি এ কর্মসূচির বিরোধিতা করেন। এমনকি আওয়ামী লীগের মধ্যেই একটি অংশ ছয় দফা দাবি সমর্থন করতে অস্বীকৃতি জানায়। যদিও আওয়ামী লীগের কাউন্সিল সভায় এ কর্মসূচি অনুমোদন লাভ করে। শেখ মুজিব দলের সভাপতি এবং তাজউদ্দিন আহমদ সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ছয় দফা কর্মসূচি দেশের যুব সম্প্রদায়ের মধ্যে আলোড়ন সৃষ্টি করে। কিন্তু আইয়ুব সরকারের প্রতিক্রিয়া ছিল খুবই কঠোর। আইয়ুব খান ছয় দফা কর্মসূচিকে অস্ত্রের ভাষায় প্রতিহত করার ঘোষণা দেন। ইতিমধ্যে বঙ্গবন্ধু তিন মাসব্যাপী সারা দেশে গণজমায়েত কর্মসূচি শুরু করেন। এ সময়ের মধ্যে তাকে আট বার গ্রেফতার করা হয় এবং অবশেষে ১৯৬৬ সালের ৮ মে কারাগারে বন্দি করা হয়।

আইয়ুব খানের পতনের পর দৃশ্যপটে আসেন সামরিক শাসক ইয়াহিয়া খান। তার অধীনে ১৯৭০ সালে প্রথম সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। আওয়ামী লীগ ছয় দফা কর্মসূচিকে প্রকৃত গণভোট হিসেবে গ্রহণ করে পূর্ণশক্তি ও উত্সাহ-উদ্দীপনা নিয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে। এ নির্বাচনে অভূতপূর্ব বিজয় অর্জন করে। কিন্তু সামরিক শাসক ইয়াহিয়া নির্বাচনের রায় বাতিল ও বাঙালির জনরায়কে পদদলিত করে সামরিক বাহিনী তলব করে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ২ মার্চ থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য পূর্ব পাকিস্তানে ব্যাপক গণ-আন্দোলনের ডাক দেন। ৭ মার্চ রেসকোর্স ময়দানে পাকিস্তানি শাসকের বিরুদ্ধে বাঙালি জাতিকে সশস্ত্র প্রতিরোধ আন্দোলনের উদাত্ত আহ্বান জানান।

এই ফাঁকে আলোচনার নামে কালক্ষেপণ করে শাসকগোষ্ঠী সামরিক শক্তি বৃদ্ধি করে। ২৫ মার্চ ১৯৭১-এর কালরাতে পাকিস্তান সেনাবাহিনী বাঙালির ওপর গণহত্যা চালায়। ফলে পাকিস্তানের ভবিষ্যতের পথ রুদ্ধ হয়ে পড়ে। বঙ্গবন্ধুকে গ্রেফতার এবং তথাকথিত রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে বিচারের জন্য পশ্চিম পাকিস্তানে নিয়ে যাওয়া হয়। গ্রেফতারের আগে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। এদিকে জাতীয় ও প্রাদেশিক পরিষদে আওয়ামী লীগের নির্বাচিত প্রতিনিধিগণ ১৯৭১ সালের ১০ এপ্রিল প্রবাসী সরকার গঠন করেন। এ প্রবাসী সরকার মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনা করে।

স্বাধীনতার পর ১৯৭২-৭৫ সালে আওয়ামী লীগ দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রের শিকার হয়। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা সপরিবারে ঘৃণ্য হত্যাকাণ্ডে জীবন দেন। ১৯৭৫ থেকে ১৯৮১ পর্যন্ত নানা ষড়যন্ত্রে ক্ষতবিক্ষত আওয়ামী লীগ। ১৯৮১-এর ১৬ ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিত কাউন্সিলে শেখ হাসিনাকে আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচিত হন আব্দুর রাজ্জাক। শেখ হাসিনা তখন নির্বাসনে। সভাপতি হওয়ার পর পরই ১৯৮১ সালের ১৭ মে এক বর্ষণমুখর দিনে তিনি স্বদেশের মাটিতে পা রাখেন। দেশে ফিরেই এক অভিনব পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে হলো তাকে। ৩০ মে ৮১-তে স্বৈরশাসক জিয়া নিহত হলেন সেনা বিদ্রোহীদের হাতে। যা তার নেতৃত্বকে শুরুতেই চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি দাঁড় করায়। এ সময়টা আমি তাকে খুবই কাছ থেকে দেখার সুযোগ পাই। তিনি দৃঢ়চেতা, নির্ভীকচিত্তে পরিস্থিতি মোকাবিলা করলেন।

১৯৮১, ১৯৮২ প্রথমে গণতান্ত্রিক শাসনের ছদ্মাবরণে নেপথ্যের কুশীলব জেনারেল এরশাদের স্বমূর্তিতে আবির্ভাব। পাশাপাশি দলের অভ্যন্তরে নানা মত ও পথের উপদলীয় কোন্দল। ক্ষতবিক্ষত দল। ১৯৮৩-তে দলের অভ্যন্তরের চক্রান্তে একটি বড় ধরনের সাংগঠনিক ধাক্কা খেল আওয়ামী লীগ। আব্দুর রাজ্জাক ও মহিউদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বে দলের অভ্যন্তরের একটি বড় অংশ দল ছেড়ে বাকশাল নামে নতুন দল গঠন করেন। তারও আগে এ উপদলের নেতৃবৃন্দ ছাত্রলীগকে দ্বিধাবিভক্ত করেন। রাজ্জাক-মহিউদ্দিনের এ ভাঙন দল হিসেবে আওয়ামী লীগকে বেশ দুর্বল করে দেয়।

শেখ হাসিনা অত্যন্ত ধৈর্য ধরে পরিস্থিতির মোকাবিলা করেন। বলতে দ্বিধা নেই যে, দলের ভাঙন রোধে শেখ হাসিনা যে সর্বাত্মক চেষ্টা করেন, তার সাক্ষী ওবায়দুল কাদের আর আমি। কিন্তু দলের অভ্যন্তরস্থ কট্টর ডানপন্থিদের কূটকৌশল এবং রাজ্জাকপন্থিদের অনমনীয় অবস্থান তার সকল প্রকার প্রয়াসকে ভেস্তে দেয়। দল ভেঙে যায়। এ সময় রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে স্বৈরতান্ত্রিক দুঃশাসন আর সাংগঠনিক ক্ষেত্রে বিশ্বাসঘাতকতা তাকে ব্যতিব্যস্ত করে তুললেও বিচলিত ও বিভ্রান্ত করতে পারেনি।

আমরা তরুণ যুবারা তার পাশে দাঁড়িয়েছিলাম নিঃশর্ত সমর্থন দিয়ে। যদিও এ সময়টা আমি রাজনীতির বাইরে ছিলাম, তথাপি তার পাশে থেকে তাকে সহায়তা করার দায়িত্বকে কর্তব্য জ্ঞান করেছি। ওবায়দুল কাদের, মমতাজ হোসেন, মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, আ খ ম জাহাঙ্গীর হোসেন, আব্দুল মান্নান, জাহাঙ্গীর কবির নানক, শাহে আলম, অসীম কুমার উকিল, সুলতান মনসুর আহমেদ, আব্দুর রহমান প্রমুখ এ সময়টাতে ছায়ার মতো তার সঙ্গে থেকে সহায়তা করেছেন। জ্যেষ্ঠ নেতাদের মধ্যে আব্দুস সামাদ আজাদ, জিল্লুর রহমান, সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী, আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, আবুল হাসনাত আব্দুল্লাহ, মহিউদ্দিন চৌধুরী, মোস্তফা মহসিন মন্টু, ড. কামাল হোসেন, আব্দুল জলিল, মো. নাসিম, আইভী রহমান, মতিয়া চৌধুরী প্রমুখ নেত্রীকে শক্তি-সাহস জুগিয়েছেন নিরন্তর। অন্যদের মধ্যে টাঙ্গাইলের মান্নান, নেত্রকোনার মমিনের নামও উল্লেখ করা যেতে পারে। একটা সময় পর্যন্ত ফনিভূষণ মজুমদারও তাকে সহায়তা করেছেন। মিজান চৌধুরী, দেওয়ান ফরিদ গাজী, আব্দুল কুদ্দুস মাখন, মোজাফ্ফর হোসেন পল্টু তখন অন্য সংগঠন ও দল করেন আওয়ামী লীগ নামে।

বাঙালির স্বাধীনতার জন্য আওয়ামী লীগের জন্ম অপরিহার্য ছিল, বাঙালির এগিয়ে যাওয়াতেও দলটির অপরিহার্যতা প্রমাণিত। বাংলাদেশকে আদর্শরাষ্ট্রে পুনর্গঠন করার জন্য দলটি একইভাবে নিরন্তর লড়াই ও কাজ করে চলছে। এখানেই এ রাজনৈতিক দলের বিশেষত্ব। এই দিনে এ দলটির প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে অদ্যাবধি যেসব নেতা আত্মত্যাগ করেছেন, তাদের সবার প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা।

লেখক:র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী, মন্ত্রী, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়, যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং ৭৫-পরবর্তী প্রতিরোধযোদ্ধা

সূত্র – দৈনিক ইত্তেফাক

এ এস/

ShareTweet
Previous Post

ইসরায়েলি সেনাদের হত্যার দাবি হিজবুল্লাহর

Next Post

রাশিয়ার ড্রোন ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেওয়ার দাবি ইউক্রেনের

Related Posts

বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র সংসদের ভূমিকা
মতামত

বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র সংসদের ভূমিকা

ট্রাম্পের অভিবাসন নীতিতে বাংলাদেশিদের ভবিষ্যৎ কী?
মতামত

ট্রাম্পের অভিবাসন নীতিতে বাংলাদেশিদের ভবিষ্যৎ কী?

জাতীয় স্বার্থ, স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে সবার ঐক্যবদ্ধ থাকা জরুরি
মতামত

জাতীয় স্বার্থ, স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে সবার ঐক্যবদ্ধ থাকা জরুরি

নতুন বছরে শিক্ষা ভাবনা
মতামত

নতুন বছরে শিক্ষা ভাবনা

সামাজিক ব্যবসায়ের এক নতুন ফর্মুলা
মতামত

সামাজিক ব্যবসায়ের এক নতুন ফর্মুলা

বায়ুদূষণে ঢাকা, পরিত্রাণ কোথায়?
মতামত

বায়ুদূষণে ঢাকা, পরিত্রাণ কোথায়?

Next Post
রাশিয়ার ড্রোন ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেওয়ার দাবি ইউক্রেনের

রাশিয়ার ড্রোন ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেওয়ার দাবি ইউক্রেনের

Discussion about this post

ফেসবুকে প্রবাস খবর

সর্বশেষ সংবাদ

শেখ মুজিবের কালো আইনেই আ.লীগ নিষিদ্ধ সম্ভব: অ্যাটর্নি জেনারেল

শেখ মুজিবের কালো আইনেই আ.লীগ নিষিদ্ধ সম্ভব: অ্যাটর্নি জেনারেল

দ্রুত সিদ্ধান্ত না এলে আবারও ‘মার্চ টু ঢাকা’: নাহিদ ইসলাম

দ্রুত সিদ্ধান্ত না এলে আবারও ‘মার্চ টু ঢাকা’: নাহিদ ইসলাম

পাকিস্তানের পাশে দাঁড়াল শক্তিশালী এক মুসলিম দেশ

পাকিস্তানের পাশে দাঁড়াল শক্তিশালী এক মুসলিম দেশ

‘শাহবাগে খালেদা জিয়ার অপেক্ষায় সারা বাংলাদেশ’

‘শাহবাগে খালেদা জিয়ার অপেক্ষায় সারা বাংলাদেশ’

এই দেশ কোনো ব্যক্তি বা দলের নয়, দেশটা জনগণের: তারেক রহমান

এই দেশ কোনো ব্যক্তি বা দলের নয়, দেশটা জনগণের: তারেক রহমান

Load More

❑ আর্কাইভ অনুসন্ধান

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
 ১২৩
৪৫৬৭৮৯১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০৩১
  • প্রবাস ফোরাম
  • প্রবাস কমিউনিটি
  • প্রবাস হেল্প কর্নার
  • প্রবাস ট্রেনিং সেন্টার
  • প্রবাস দূতাবাস
  • প্রবাসে চাকরি
  • ভিসা তথ্য
  • প্রবাস ভাষা
  • মতামত
  • আর্কাইভ
PROBASH KHABOR LIMITED
49/1, ( Ground floor),Islam Tower Road,
Nayapaltan, Dhaka-1000
Mobile -01321890389-WhatsApp Mobile -01329281279

Copyright © 2023 probashkhabor All right reserved. Developed by WEBSBD.NET

১০ই মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৭শে বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ১২ই জিলকদ, ১৪৪৬ হিজরি
No Result
View All Result
  • প্রচ্ছদ
  • বাংলাদেশ
  • প্রবাস
    • প্রবাস অর্থনীতি
    • প্রবাস রাজনীতি
    • প্রবাস দূতাবাস
    • প্রবাস জীবন-যাপন
    • প্রবাস সফলতা
    • প্রবাস জীবনের গল্প
    • প্রবাস কমিউনিটি
    • প্রবাস খেলা
    • প্রবাস বিনোদন
    • প্রবাস সাহিত্য
    • প্রবাস ইতিহাস ও ঐতিহ্য
    • প্রবাস সাক্ষাৎকার
    • প্রবাস শিক্ষা
    • প্রবাস ভ্রমন
    • প্রবাস কণ্ঠ
    • প্রবাস হেল্প কর্নার
    • প্রবাস আলোকচিত্র
    • প্রবাস ভাষা
    • ভিডিও সংবাদ
    • প্রবাস ফোরাম
    • প্রবাস ট্রেনিং সেন্টার
    • প্রবাসে চাকরি
    • প্রবাস বিশেষ
  • এশিয়া
  • মধ্যপ্রাচ্য
  • ইউরোপ
  • আমেরিকা
  • আফ্রিকা
  • প্রবাসী মন্ত্রণালয়
  • বিএমইটি
  • রিক্রুটিং এজেন্সী
  • বায়রা
  • পাসপোর্ট
  • বিমানবন্দর
  • হজ্জ
  • প্রবাস বিশেষ

Copyright © 2023 probashkhabor All right reserved. Developed by WEBSBD.NET

Welcome Back!

Login to your account below

Forgotten Password?

Retrieve your password

Please enter your username or email address to reset your password.

Log In

Add New Playlist