আসমানকে আল্লাহ তাআলা বিশেষ নিদর্শন বানিয়েছেন। এটি আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয় তার কুদরতের কথা। আকাশে যখন মেঘ জমতে শুরু করে, আমরা জানি না সেগুলো আমাদের জন্য কি বার্তা নিয়ে এসেছে—বরকতপূর্ণ বৃষ্টি নাকি প্রাকৃতিক কোনো বিপদ।
এ সময় আল্লাহর কাছে আশ্রয় চাওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নবীজী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাদের শিখিয়েছেন, মেঘাচ্ছন্ন আকাশ দেখলে কীভাবে আল্লাহর কাছে পানাহ চাইতে হবে। এ দোয়া পড়ার মাধ্যমে আমরা আল্লাহর শরণাপন্ন হয়ে তার নিকট নিরাপত্তা চাই, যেন মেঘের সাথে কোনো অনিষ্ট আমাদের দিকে না আসে।
اَللّٰهُمَّ اِنَّا نَعُوْذُبِكَ مِنْ شَرِّمَا اُرْسِلَ بِهٖ
উচ্চারণ: আল্লাাহুম্মা ইন্নাা না‘ঊযুবিকা মিন শাররি মাা উরসিলা বিহ।
অর্থ: হে আল্লাহ! আমরা আপনার নিকট ঐ সকল অনিষ্ট হতে পানাহ চাচ্ছি, যাকে এ মেঘ বহন করে এনেছে।
হযরত আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত, নবী সা. বলেছেন,
তোমাদের প্রত্যেক ব্যক্তির দোয়া কবুল হয়ে থাকে। যদি সে তাড়াহুড়া না করে আর বলে যে, আমি দোয়া করলাম, কিন্তু আমার দোয়া তো কবুল হলো না। (বুখারি ৬৩৪০)
হাদিসে এসেছে, হযরত জাবির রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন,
আমি রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বলতে শুনেছি, কোনো ব্যক্তি (আল্লাহর কাছে) কোনো কিছু প্রার্থনা করলে আল্লাহ তাআলা তাকে তা দান করেন। অথবা তদানুযায়ী তার থেকে কোনো অমঙ্গল প্রতিহত করেন। যতক্ষণ না সে কোনো পাপাচারে লিপ্ত হয় বা আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্ন করার জন্য দোয়া করে। (তিরমিজি)
রসুল সা. বলেছেন, যদি কেউ চায় যে বিপদের সময় তার দোয়া কবুল হোক, তাহলে সে যেন সুখের দিনগুলোতে বেশি বেশি দোয়া করে (তিরমিজি ৩৩৮২)
হযরত সালমান রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত যে, তিনি বলেন, রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, দোয়া ছাড়া আর কিছুই তাকদির পরিবর্তন করতে পারে না আর নেক আমল ছাড়া আর কিছুই বয়সে বৃদ্ধি ঘটায় না। (সহিহাহ ১৫৪, তিরমিজি ২১৩৯)
এম এইচ/
Discussion about this post