সৈয়দ মোবারক হোসেন কাউসার মাস খানেক আগেই ইতালি থেকে বাংলাদেশে আসেন। পরিবার নিয়ে সেখানেই স্থায়ী হওয়ার কথা ছিলো তার। কিন্তু ভাগ্যের কি নির্মম পরিনাম, ইতালি আর ফেরা হলো না। বেইলি রোডের আগুনে পুড়ে স্ত্রী-সন্তানসহ মারা গেছেন মোবারক!
মোবারকের চাচাতো ভাই ফয়সাল জানান, পরিবারের সবাইকে নিয়ে ডিনার করতে গিয়েছিলেন মোবারক। সঙ্গে ছিল স্ত্রী স্বপ্না আক্তার (৪০), দুই মেয়ে ফাতেমা তুজ জোহরা কাশফিয়া (১৯) ও আমেনা আক্তার নূর (১৩) এবং একমাত্র ছেলে সৈয়দ আব্দুল্লাহ (৮)। আগুনে পুড়ে সবাই মারা গেছেন।
ফয়সাল বলেন, ‘পরিবারটি ইতালিতে স্থায়ীভাবে বসবাসের জন্য সব প্রস্তুতি নিয়েছিল। কিন্তু তাদের আর যাওয়া হলো না। ঢাকার মধুবাগে থাকতেন। পরিবারের সবাইকে নিয়ে খেতে যাওয়াটাই কাল হলো তাদের। পরিবারের আর কেউ বেঁচে রইলো না।’
তিনি জানান, তারা সবার মরদেহ শনাক্ত করেছেন। প্রক্রিয়া শেষে লাশ নিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। নিহত সৈয়দ মোবারক হোসেন কাউসারদের গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার শাহবাজপুর। বাড়ির নাম খন্দকার বাড়ি।
বৃহস্পতিবার রাত ৯টা ৫০ মিনিটের দিকে ওই ভবনের দ্বিতীয় তলায় ‘কাচ্চি ভাই’ নামে একটি রেস্তোরাঁয় আগুন লাগে। ফায়ার সার্ভিসের ১৩টি ইউনিটের চেষ্টায় রাত ১১টা ৫০ মিনিটের দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। এ আগুনের ঘটনায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে মারা গেছেন ১০ জন। এ ছাড়া ভর্তি রয়েছে আরও অনেকে। ঢাকা মেডিক্যাল কলেজে আরও ৩৩ জন মারা গেছেন। তাদের মধ্যে কয়জন নারী, পুরুষ কিংবা শিশু তা এখনও জানার চেষ্টা চলছে। রাতে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন এসব তথ্য জানিয়েছেন।
এ এস/
Discussion about this post