রোববার (২৮ জুলাই) এর মধ্যে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কসহ আটককৃত সকল শিক্ষার্থীর মুক্তি, মামলা প্রত্যাহার ও ‘শিক্ষার্থী গণহত্যা’র সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে দৃশ্যমান ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা।
আর তা না হলে সোমবার (২৯ জুলাই) থেকে কঠিন কর্মসূচি দেওয়া হবে বলেও হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন তারা।
শনিবার (২৭ জুলাই) রাতে এক জুম মিটিংয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৩ সমন্বয়ক রিফাত রশীদ, আব্দুল হান্নান মাসুদ ও মাহিন সরকার এই ঘোষণা দেন। কর্মসূচির অংশ হিসেবে রোববার সারাদেশের দেয়ালগুলোতে গ্রাফিতি ও দেয়াললিখন কর্মসূচি পালন করা হবে।
নেতৃবৃন্দ বলেন, রোববার এর মধ্যে সকল শিক্ষার্থীর মুক্তি, মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও শিক্ষার্থী গণহত্যার সাথে জড়িত মন্ত্রী পর্যায় থেকে কনস্টেবল পর্যন্ত সকল দোষীদের বিরুদ্ধে দৃশ্যমান ব্যবস্থা নিতে হবে। তা না হলে সোমবার থেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কঠিন কর্মসূচি নিতে বাধ্য হবে।
তারা আরও বলেন, সারা বাংলাদেশের প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, জেলা, উপজেলা ও নগরকেন্দ্রিক ‘হেলথ ফোর্স’ গঠন করে আহত-নিহতদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা তৈরি, এবং আহত-নিহত ছাত্র-নাগরিক ও তাদের পরিবারকে মানসিক ও আর্থিকভাবে সহযোগিতা কার্যক্রম পরিচালনা করবে। সেইসাথে ‘লিগ্যাল ফোর্স’ গঠন করে সারাদেশে অসংখ্য মিথ্যা ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মামলার ডকুমেন্টেশন এবং যাদের আইনী সাহায্যের প্রয়োজন তাদেরকে সেই সাহায্যের ব্যবস্থা করতে হবে। এক্ষেত্রে স্থানীয় ইউনিট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কমিটির সাথে সমন্বয় করবে।
Discussion about this post