সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক ‘অবৈধভাবে’ ভারতে যাওয়ার সময় গ্রেপ্তার হয়েছেন।
শুক্রবার (২৩ আগস্ট) রাতে সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার দনা সীমান্ত এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে বিজিবি সদর দপ্তর থেকে এ তথ্য জানানো হয়।
আটকের পর প্রকাশিত একটি ভিডিওতে দেখা যায়, তার সামনে অবস্থান করা লোকদেরকে বিচারপতি মানিক বলছেন, আমি তোমাদের পয়সা দিয়ে দেব। পয়সা আমি দেব, আমার ভাই-বোন দেবে।
জবাবে তাদের মধ্যে একজনকে (যাকে ভিডিওতে দেখা যায়নি) বলতে শোনা যায়, আমাদের পয়সার প্রয়োজন নাই। এরপর মানিককে বলতে শোনা যায়, ওই ফালতু লোক দুটাকে আনিও না। আমি এ দেশে এসেছি কি বাংলাদেশে ফেরত যাওয়ার জন্য।
এই ভিডিওটি যে আসলেই ভারতের ভেতরকার তার প্রমাণ পাওয়া যায় বিজিবির হাতে বিচারপতি মানিক আটক হওয়ার পরের আরেকটি ভিডিওতে। সেখানে জিজ্ঞাসাবাদে বিজিবি সদস্যদের কাছে মানিক স্বীকার করেছেন, তিনি ১৫ হাজার টাকার কন্টাক্টে ভারতে যাচ্ছিলেন। কিন্তু দুজন লোক ভারতের ভেতরে নিয়ে তাকে মারধর করে ৬০-৭০ লাখ টাকা নিয়ে যায়।
গত ৫ অগাস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ঢাকা ও নোয়াখালীতে দুটি মামলা হয়েছে শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিকের বিরুদ্ধে। দুই মামলাতেই বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানকে নিয়ে ‘আপত্তিকর মন্তব্য করার’ অভিযোগ আনা হয়েছে তার বিরুদ্ধে।
সাবেক এই বিচারপতির আটক হওয়ার সময়ের কয়েকটি ভিডিও সামাজিকযোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়েছে। তাকে বিজিবির জিজ্ঞাসাবাদের সময়ের একটি ভিডিও সংবাদমাধ্যমেও এসেছে।
একটি ভিডিওতে দেখা যায়, প্যান্ট ও হাফ শার্ট পরিহিত শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক শুয়ে আছেন জঙ্গল এলাকায় কলাপাতার ওপর। তার কোলের কাছে একটি টুপি। মুখে কয়েক দিনের না কাটা দাড়ি। পাশে রয়েছে ছোট কয়েকটি পোটলা।
এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক আপিল বিভাগের বিচারপতি ছিলেন। ২০১৫ সালের সেপ্টেম্বরে তিনি অবসরে যান। এরপর বিভিন্ন অনুষ্ঠান ও টেলিভিশন টকশোতে কথা বলতেন তিনি।
এ এ/
Discussion about this post