বগুড়ার শেরপুরে বাস ছিনতাইয়ের সময় আতঙ্কে চলন্ত বাস থেকে লাফিয়ে পড়ে এক বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী নিহত হয়েছেন। বাস ছিনতাইয়ের ঘটনায় জড়িত রনি মোল্লা নামে এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ। বুধবার (১৭ জুলাই) দুপুর ১২টার দিকে উপজেলার ধনকুন্ডি এলাকায় বাস থেকে লাফ দিয়ে মারা যান তিনি।
নিহত ওই শিক্ষার্থীর নাম সানজিদা আক্তার ওরফে স্বর্ণা। তিনি বগুড়া উপশহর এলাকার আব্দুর রউফের মেয়ে। সানজিদা আক্তার আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের শিক্ষার্থী ছিলেন। আটক রনি মোল্লা শাজাহানপুর উপজেলার বেতগাড়ি এলাকার রাজ মোল্লার ছেলে।
জানা গেছে, সানজিদা আক্তার কোটা আন্দোলনের কারণে সকালে ৬টায় শাহ ফতেহ আলী পরিবহনের একটি বাসে করে নিজের বাড়ি বগুড়ার উদ্দেশে রওনা দেয়। বাসটি শেরপুর উপজেলার ধনকুন্ডি এলাকার ফুড ভিলেজ রেস্টুরেন্টে যাত্রা বিরতি দেয়। এ সময় অনেক যাত্রী বাস থেকে নেমে যান। বাসের মধ্যে সানজিদা স্বর্ণাসহ আরো চার নারী যাত্রী ছিলেন। এ সময় এক যুবক বাসটি ট্রায়াল দেওয়ার কথা বলে মহাসড়কে নিয়ে যান। বাসটি বেপরোয়া গতিতে চালাতে থাকেন তিনি।
বাসের ভেতরে থাকা যাত্রীরা চিৎকার শুরু করেন। তারা যুবককে গাড়ির গতি কমাতে বলেন। কিন্তু তিনি যাত্রীদের কোনো কথা না শুনে গাড়ি বেপরোয়া গতিতে চালাতে থাকেন। বাসটি মির্জাপুর এলাকায় পৌঁছালে ছিনতাই আতঙ্কে সানজিদা স্বর্ণা বাস থেকে লাফিয়ে পড়েন। স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে শেরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে সেখানে তার মৃত্যু হয়।
বগুড়া শাজাহানপুর থানার ওসি শহিদুল ইসলাম সংবাদমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, রনি মোল্লা বাসটি নিয়ে শাজাহানপুর উপজেলার লিচুতলা বাইপাস এলাকায় রেখে পালিয়ে যায়। সেখানেই তার বাসা। আমরা বাসটিতে গিয়ে তিনজন নারী যাত্রীকে পাই। তারা আমাদের ঘটনার বিস্তারিত জানান।
তিনি বলেন, আমরা গাড়ির স্টেয়ারিংয়ের নিচে একটা মানিব্যাগ পাই। তাতে জাতীয় পরিচয়পত্র ছিল। সেখান থেকে তথ্য নিয়ে অভিযান চালিয়ে রনি মোল্লাকে আটক করি। বর্তমানে রনি মোল্লা শেরপুর থানা পুলিশের হেফাজতে রয়েছে। তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছি তিনি (রনি মোল্লা) যাত্রীবেশে আব্দুল্লাহপুর থেকে বগুড়ায় আসছিলেন। তিনি ট্রাকচালক বলে জানতে পেরেছি।
এ এস/
Discussion about this post