আন্তর্জাতিক পুরুষ দিবস আজ ১৯ নভেম্বর। পুরুষের প্রতি বৈষম্য বিলোপ ও স্বাস্থ্যগত বিভিন্ন সচেতনতা সৃষ্টির উদ্দেশ্যে প্রতি বছরের মতো এবারও পালন করা হচ্ছে আন্তর্জাতিক পুরুষ দিবস।
চলতি বছর আন্তর্জাতিক পুরুষ দিবসের প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে, ‘পুরুষ ও ছেলেদের স্বাতন্ত্র্য’। ২০১৮ সালে দিবসটির প্রতিপাদ্য ছিল ‘আদর্শ পুরুষ চরিত্র’। সমাজে ও পরিবারে পুরুষের অবদানকে উদযাপন করতেই পুরুষ দিবসের সূচনা হয়।
পুরুষ দিবস পালনে প্রথমে ২৩ ফেব্রুয়ারি দিন ঠিক হয়েছিল। কিন্তু আগে থেকে এ দিনটি ‘রেড আর্মি ও নেভি ডে’র জন্য নির্ধারণ করে ফেলেছিল রাশিয়া।
তাই পরে ১৯ নভেম্বর পুরুষ দিবস পালনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ১৯২২ সাল। এর কয়েক বছর আগেই প্রথম বিশ্বযুদ্ধ শেষ হয়েছে। সেই যুদ্ধে নিহত সেনাদের শ্রদ্ধা জানাতে এবং পুরুষ জাতিকে উদ্বুদ্ধ করতে তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নে ‘রেড আর্মি অ্যান্ড নেভি ডে’ পালন করা হতো। সমাজে পুরুষদের বীরত্ব আর ত্যাগের প্রতি সম্মান জানিয়েই মূলত দিবসটি পালনের উদ্যোগ নেওয়া হয়। ১৯৯৯ সালে ত্রিনিদাদ ও টোবাগোতে এই বিশেষ দিন উদযাপন শুরু হয়।
দিবসটির লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হিসেবে বেশ কয়েকটি বিষয়ের ওপর জোর দেওয়া হয়। বালক, কিশোর ও পুরুষদের স্বাস্থ্য সচেতনতা বৃদ্ধি, নারী-পুরুষের মধ্যে সম্পর্ক উন্নয়ন বিষয়ক প্রচারণা, নারী-পুরুষ সমতার প্রচার, পুরুষদের মধ্যে ইতিবাচক আদর্শ চরিত্রের গুরুত্ব তুলে ধরা, পুরুষ ও বালকদের নিয়ে গড়ে ওঠা বিভিন্ন সংস্কার ও কুসংস্কারের বিরুদ্ধে সচেতনতা তৈরি করা, পুরুষ ও বালকদের অর্জন ও অবদানকে উদযাপন করা। সমাজ, পরিবার, বিবাহ ও শিশু যত্নের ক্ষেত্রে পুরুষদের অবদানকে তুলে ধরাও এই দিবসের আরেকটি লক্ষ্য।
বিশ্ব জুড়ে নানাভাবে পুরুষ দিবস পালনের রেওয়াজ রয়েছে। প্রতি বছর ১৯ নভেম্বর বিশ্বের ৭০টিরও বেশি দেশে দিবসটি পালন করা হয়। এই দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে- যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, চীন, কানাডা, ভারত, পাকিস্তান, ক্রোয়েশিয়া, জ্যামাইকা, কিউবা, স্কটল্যান্ড, সিঙ্গাপুর, মাল্টা, কানাডা, ডেনমার্ক, নরওয়ে, অস্ট্রিয়া, ইউক্রেন ইত্যাদি। নারী-পুরুষ আসলে সমাজের দুটি স্তম্ভ, যার ওপর ভিত্তি করেই দাঁড়িয়ে থাকে একটা সুস্থ-স্বাভাবিক সমাজ। দিনটি উপলক্ষে এইড ফর মেন ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে একটি আলোচনাসভাসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।
এস এইচ/
Discussion about this post