চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার ভাঙারি ব্যবসায়ী আরিফুল ইসলাম রাজিব বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালীন গাজীপুরের বোর্ড বাজার এলাকায় গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন। পরে গাজীপুর থেকে তার মরদেহ এনে ময়নাতদন্ত ছাড়াই মতলব উত্তরের রাঢ়ীকান্দি গ্রামের কেন্দ্রীয় কবরস্থানে দাফন করা হয়।
এ ঘটনায় গাজীপুরের গাছা থানায় মামলা হওয়ায় আদালতের নির্দেশে ৪ মাস ২৮ দিন পর মরদেহটি কবর থেকে উত্তোলন করে ময়নাতদন্তের জন্য চাঁদপুর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরে গত ১৮ ডিসেম্বর আদালতের নির্দেশে কবর থেকে মরদেহ উত্তোলন করা হয়েছে।
নিহত আরিফুল ইসলাম রাজিবের বাড়ি চাঁদপুর জেলার মতলব উত্তর উপজেলার গজরা ইউনিয়নের টরকী এওয়াজ গ্রামে।
জানা গেছে, আরিফুর ইসলাম রাজিব নিহতের ঘটনায় গত ২১ আগস্ট গাজীপুরের গাছা থানায় তার বাবা রজ্জব প্রধান বাদী হয়ে শেখ হাসিনা, ওবায়দুল কাদের, মোজাম্মেল হক, জাহাঙ্গীর আলমসহ ৪৭৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। এ মামলার প্রেক্ষিতে গাজীপুর মেট্রোপলিটন চিফ জুডিশিয়াল আদালত মৃত্যুর সঠিক কারণ জানতে মরদেহ উত্তোলন করে ময়নাতদন্তের জন্য আদেশ দেন। ওই আদেশে বুধবার রাঢ়ীকান্দি গ্রামের কবরস্থান থেকে আরিফের মরদেহ উত্তোলন করে চাঁদপুর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়।
এসময় মতলব উত্তর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট হিল্লোল চাকমা, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা গাজীপুরের গাছা থানার উপ-পরিদর্শক সুমন খান, মতলব উত্তর থানার উপ-পরিদর্শক মো. নাজিমুদ্দিনসহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা গাজীপুরের গাছা থানার উপ-পরিদর্শক সুমন খান বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালীন গাজীপুরের বোর্ড বাজার এলাকায় গুলিবিদ্ধ হয়ে আরিফুল ইসলাম রাজিব মারা যান। তখন ময়নাতদন্ত ছাড়াই মরদেহ দাফন করা হয়েছিল। পরে এ ঘটনায় তার বাবা বাদী হয়ে মামলা করলে ময়নাতদন্তের জন্য আদালতের নির্দেশে তার মরদেহটি উত্তোলন করা হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে আবারও মরদেহটি পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
সহকারী কমিশনার ভূমি (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট হিল্লোল চাকমা বলেন, আদালতের নির্দেশে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার উপস্থিতিতে ময়নাতদন্তের জন্য কবর থেকে আরিফুল ইসলাম রাজিবের মরদেহ উত্তোলন করা হয়েছে। মরদেহটি চাঁদপুর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এ ইউ/
Discussion about this post