দুই উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা অনৈতিক কর্মকাণ্ডের সময় জনতার হাতে ধরা পড়েছেন। এ সময় কৌশলে উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা দীপঙ্কর বাড়ৈ পালিয়ে গেলেও বিয়ের দাবিতে তার বাড়িতে অবস্থান নেন নারী কর্মকর্তা।
গেল ২৬ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার ভোর রাতে বরিশালের গৌরনদী উপজেলার দক্ষিণ বিজয়পুর এলাকায় ঘটে এ ঘটনা। বিষয়টি শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) সকালে এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে সৃষ্টি হয় চাঞ্চল্যের।
অভিযুক্ত ব্যক্তিরা হলেন উপজেলা কৃষি উপসহকারী কর্মকর্তা দীপঙ্কর বাড়ৈ ও কৃষি উপসহকারী কর্মকর্তা প্রিয়াংকা ভক্ত। তারা দুজনেই গৌরনদী উপজেলা কৃষি অফিসে কর্মরত। যদিও সহকর্মীর সঙ্গে অনৈতিক কর্মকাণ্ডের সময় ধরা পড়ার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন দীপঙ্কর বাড়ৈ।
প্রত্যক্ষদর্শী স্থানীয়রা জানান, গত বৃহস্পতিবার ভোরে গৌরনদী পৌরসভার দক্ষিণ বিজয়পুর এলাকার সাগর গোমেজের বাড়ির দ্বিতীয় তলায় ভাড়া বাসায় পরিবার নিয়ে বসবাস করছেন দীপঙ্কর বাড়ৈ। বৃহস্পতিবার রাতে বাসার মধ্যে অনৈতিক কর্মকাণ্ডের সময় প্রিয়াংকা ভক্ত ও দীপঙ্করকে আটক করে স্থানীয়রা। একপর্যায়ে পিয়াংকাকে নিজের বাসায় রেখে জনতার হাত থেকে কৌশলে পালিয়ে যান দীপঙ্কর।
বাড়ির মালিক সাগর গোমেজ বলেন, ‘অনৈতিক কর্মকাণ্ডের সময় ভাড়াটিয়া দীপঙ্করকে এক নারীসহ আটক করে স্থানীয়রা। এ সময় রহস্যজনকভাবে দীপঙ্কর পালিয়ে যায়। তখন ওই নারী বিয়ের দাবিতে বাসার ভেতরে অবস্থান নেন। তবে বিকেলে তিনিও বাসা থেকে চলে যান।’
এ বিষয়ে প্রিয়াংকা ভক্ত বলেন, ‘একই পদে চাকরির সুবাদে এক বছর আগে দীপঙ্করের সঙ্গে আমার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে দীপঙ্কর বিভিন্ন সময় আমার সঙ্গে দৈহিক মেলামেশা করে। বৃহস্পতিবার দিপঙ্করের স্ত্রী তার বাবার বাড়িতে বেড়াতে যান। সেই সুযোগে ওই দিন রাতে আমাকে বাসায় ডেকে নেয় দীপঙ্কর। ভোররাত ৪টায় আমি দীপঙ্করের বাসায় আসি। প্রতিবেশীরা বিষয়টি টের পেয়ে আমাদের দুজনকে আটক করে। পরে আমাকে বাসায় ফেলে দীপঙ্কর কৌশলে পালিয়ে যায়।’
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা দীপঙ্কর বাড়ৈ দাবি করেন, ‘অভিযোগের কোনো সত্যতা নেই। আমাকে ফাঁসানো হয়েছে।’
এম এইচ/
Discussion about this post