কয়েকদিন আগেই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেছিলেন, ছাত্র-জনতা আন্দোলনে শহীদদের নামেই দেশের স্টেডিয়ামের নামকরণ করা হবে। এবার সেই কথারই প্রতিফলন দেখা গেল।
দেশের তিনটি স্টেডিয়াম ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শহীদদের নামে নামকরণ করা হলো। বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টার ফেসবুক পেজের এক পোস্টে এই তথ্য জানানো হয়।
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) তড়িৎ প্রকৌশলী বিভাগের মেধাবী শিক্ষার্থী ছিলেন আবরার ফাহাদ। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভারতবিরোধী পোস্ট করায় ২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর রাতে শেরে বাংলা হলের ১০১১ নম্বর কক্ষ থেকে ডেকে নিয়ে নির্মমভাবে তাকে পিটিয়ে হত্যা করে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।
এই ঘটনার প্রায় ৫ বছর পর আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হয়েছে। তবে ফাহাদকে ভুলে যাননি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টারা। তাই ফাহাদের নামে তার জেলার স্টেডিয়ামের নামকরণ করেছে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ।
আবরার ফাহাদ ১৯৯৮ সালে ১২ ফেব্রুয়ারি কুষ্টিয়ায় জন্মগ্রহণ করেছেন। তার গ্রামের বাড়ি কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলায়। তার বাবার নাম মো. বরকত উল্লাহ এবং মায়ের নাম রোকেয়া খাতুন। তিনি কুষ্টিয়া মিশন প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে প্রাথমিক শিক্ষা এবং পরে কুষ্টিয়া জেলা স্কুলে পড়াশোনা করেন।
পরবর্তীতে তিনি নটরডেম কলেজে বিজ্ঞান বিভাগে পড়াশোনা করেছেন। ২০১৮ সালের ৩১ মার্চ আবরার বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) তড়িৎ ও ইলেক্ট্রনিক প্রকৌশল বিভাগে পড়াশোনা শুরু করেছিলেন। কিন্তু পড়াশোনো চালাকালীন সময়েই তাকে পিটিয়ে হত্যা করে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।
তাই নাম অনুসারে কুষ্টিয়া জেলা স্টেডিয়ামের নামকরণ করা হয়েছে। আগে এটির নাম ছিল কুষ্টিয়া শেখ কামাল স্টেডিয়াম। যার নাম পরিবর্তন করে রাখা হয়েছে শহীদ আবরার ফাহাদ স্টেডিয়াম। বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) এক বিবৃতিতে এই তথ্য নিশ্চিত করেছে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ।
এদিন আরও দুটি স্টেডিয়ামের নাম পরিবর্তন করা হয়েছে। দ্বিতীয়তে রয়েছে টাঙ্গাইল জেলার স্টেডিয়াম। এটির বর্তমান নাম শহীদ মারুফ স্টেডিয়াম টাঙ্গাইল। এই তালিকার তৃতীয় স্থানে রয়েছে বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ ভবন প্রাঙ্গন মাঠ, ঢাকা। যার নাম রাখা হয়েছে শহীদ ফারহান ফাইয়াজ খেলার মাঠ।
এ ইউ/
Discussion about this post