আবারও কমেছে জ্বালানি তেলের দাম। চলতি বছরের এপ্রিল মাসের জন্য ডিজেলের বিদ্যমান বিক্রয়মূল্য ১০৮.২৫ টাকা লিটার থেকে ২.২৫ টাকা কমিয়ে করে ১০৬.০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
এছাড়াও কেরোসিন ১০৮.২৫ টাকা হতে ২.২৫ টাকা হ্রাস করে ১০৬.০০ টাকা, অকটেন ১২৬.০০ টাকা এবং পেট্রোল ১২২.০০ টাকা লিটার নির্ধারণ করা হয়েছে।
রবিবার (৩১ মার্চ) বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ডিজেল ও কেরোসিনের দাম ২ টাকা ২৫ পয়সা কমিয়ে লিটারপ্রতি দাম ১০৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে অপরিবর্তিত রয়েছে পেট্রোল ও অকটেনের দাম।
এর আগে, সবশেষ জ্বালানি তেলের দাম কমানো হয় গত ৭ মার্চ। সেবার ডিজেল ও কেরোসিনের দাম লিটারপ্রতি ১০৯ টাকা থেকে ৭৫ পয়সা কমিয়ে ১০৮ টাকা ২৫ টাকা পয়সা নির্ধারণ করা হয় ও অকটেনের দাম লিটারপ্রতি ১৩০ টাকা থেকে ৪ টাকা কমিয়ে ১২৬ টাকা এবং পেট্রোলের দাম ১২৫ টাকা থেকে ৩ টাকা কমে ১২২ টাকা করা হয়।
কোভিড মহামারি-উত্তর সরবরাহ সংকট, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, মধ্যপ্রাচ্যে চলমান উত্তেজনার কারণে সমুদ্রপথে জ্বালানি পণ্যের প্রিমিয়াম, পরিবহন ভাড়া, বিমা ও ব্যাংক সুদের হার ব্যাপক পরিমাণে বেড়েছে। উল্লিখিত সময়ে শুধু মার্কিন ডলারের বিপরীতে দেশীয় মুদ্রা অবমূল্যায়িত হয়েছে এবং বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের (প্রধানত ডিজেল) মূল্যে অস্থিতিশীলতা বিরাজ করছে।
প্রসঙ্গত, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল আইএমএফ জ্বালানি তেলের ওপর থেকে ভর্তুকি তুলে নেওয়ার জন্য সরকারকে চাপ দিয়ে আসছিল। আইএমএফ সরকারকে যে সাড়ে চার বিলিয়র ডলারের ঋণ দিয়েছে তার অন্যতম শর্ত হচ্ছে জ্বালানি এবং বিদ্যুৎ থেকে সব ভর্তুকি তুলে দিতে হবে।
টিবি
Discussion about this post