অনেক দেশ গাজার মানুষকে নিতে আগ্রহী মন্তব্য করে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, আপনারা যদি ফিলিস্তিনিদের অন্য দেশগুলোতে নিয়ে যান, অনেক দেশ আছে যারা তাদের নেবে, এবং আপনার (ফিলিস্তিনিদের) একটি স্বাধীনতা অঞ্চল থাকবে, একটি স্বাধীন অঞ্চল যেখানে মানুষকে প্রতিদিন মরতে হবে না।
সোমবার (৭ এপ্রিল) হোয়াইট হাউজে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে এসব কথা বলেন তিনি। তবে ফিলিস্তিনিদের কোন দেশে সরিয়ে নিতে চান সে বিষয়ে কিছু বলেননি তিনি।
এর আগে, গত জানুয়ারিতে দ্বিতীয় মেয়াদে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর গাজার ফিলিস্তিনিদের অন্য দেশে সরিয়ে নিয়ে গাজা উপত্যকা খালি করার ইচ্ছা প্রকাশ করেন ট্রাম্প। এ জন্য গাজার বাসিন্দাদের আশ্রয় দিতে মিসর ও জর্ডানের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
ফের নেতানিয়াহুর সঙ্গে বৈঠক শেষে গাজাকে আবাসন নির্মাণের জন্য দারুণ স্থান হিসেবে বর্ণনা করে ট্রাম্প বলেন, গাজা উপত্যকার ‘নিয়ন্ত্রণ ও মালিকানার’ জন্য যুক্তরাষ্ট্রের একটি শান্তি বাহিনী থাকলে ভালো হবে।
গাজাকে নরক হিসেবে উল্লেখ করে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে কেউ গাজায় বসবাস করতে চায় না। তবে গাজায় একটি মুক্তাঞ্চল প্রতিষ্ঠা করতে চান ট্রাম্প।
তিনি আরও বলেন, ২০০৫ সালে দখলদার ইসরায়েল গাজা থেকে তাদের সব সেনাকে প্রত্যাহার করে নিয়েছিল। এর দুই বছর পর অভ্যুত্থানের মাধ্যমে গাজার নিয়ন্ত্রণ নিয়েছিল হামাস। এরপর থেকে সেখানে তাদেরই শাসন চলছিল। ইসরায়েল কেন ২০০৫ সালে গাজা থেকে সেনা ও বসতি সরিয়ে নিয়েছিল সেটিরও সমালোচনা করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। তার মতে, গাজা থেকে শান্তির জন্য ইসরায়েল সেনাদের প্রত্যাহার করে নিয়েছিল। কিন্তু সেই শান্তি আসেনি।
প্রসঙ্গত, ১৯৬৭ সালের ছয়দিনের আরব যুদ্ধের পর গাজা দখল করেছিল ইসরায়েল। এরপর দীর্ঘ ৪০ বছর সেখানে নিজেদের দখলদারিত্ব অব্যাহত রেখেছিল তারা।
এস এইচ/
Discussion about this post