ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শহীদ আবু সাঈদের দুই ভাই রমজান আলী ও আবু হোসেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। বুধবার (৬ নভেম্বর) ঢাকায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় এ সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানিয়েছে, সাক্ষাৎকালে রমজান আলী ও আবু হোসেন জানিয়েছেন, ড. ইউনূস যখন নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনের ভাষণে আবু সাঈদ এবং অন্যান্য শহীদের আত্মত্যাগের কথা বলেছিলেন, তখন আবু সাঈদের পরিবার কান্নায় ভেঙে পড়ে।
আবু সাঈদের বড় ভাই রমজান আলী বলেন, ‘জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে প্রধান উপদেষ্টা বিপ্লবে আবু সাঈদের বীরত্বপূর্ণ ভূমিকার কথা তুলে ধরেছেন। এতে আমরা সম্মানিত।’ প্রধান উপদেষ্টা রংপুরে আবু সাঈদের গ্রামে যাওয়ার বিষয়টিও উল্লেখ করেন তারা।
আবু সাঈদের হত্যা মামলার বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টাকে জানিয়ে তারা বলেন, হত্যাকাণ্ডে দায়ী ব্যক্তিদের বিচার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।
আবু সাঈদের নামে একটি ফাউন্ডেশন স্থাপনের কথা জানিয়েছেন আবু হোসেন। ফাউন্ডেশন দরিদ্র ও জুলাই-আগস্টের অভ্যুত্থানে নিহতদের জন্য কাজ করবে বলেও জানান তিনি। এছাড়া আবু সাঈদের স্মরণে তাদের গ্রামে একটি মডেল মসজিদ এবং একটি মেডিক্যাল কলেজ তৈরি করতে চান তার ভাইয়েরা। এ বিষয়ে সহায়তার জন্য দুটি মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেছেন তারা।
আবু সাঈদের পরিবারের জন্য সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেন, ‘দ্রুত আবু সাঈদ হত্যার তদন্ত এবং ন্যায়বিচার নিশ্চিতের নির্দেশ দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার।’
তিনি বলেন, ‘আবু সাঈদ জাতির জন্য যা করেছেন, তা বাংলাদেশ কখনও ভুলবে না। তার আত্মত্যাগ স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে গণ-অভ্যুত্থানে বিরাট ভূমিকা রেখেছিল।’
পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘তোমাদের জন্য আমার দরজা সবসময় খোলা থাকবে। আমি সবসময় তোমার সঙ্গে থাকবো।’
এ ইউ/
Discussion about this post