পুলিশের গুলিতে মারা যাওয়া আবু সাঈদের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, রংপুরে ভিসি দোতলায় মিটিং করছে, সেখানে প্রক্টর এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের সবাইকে নিয়ে। সেখানে আগুন দিয়েছে, গাড়ি টারি তো পুড়িয়েছেই বাড়ির ভিতরে আগুন দিয়েছে। পুলিশ যখন উদ্ধার করতে গেছে পুলিশের ওপর হামলা করেছে। হ্যাঁ পুলিশের গুলিতে একজন মারা গেছে, যেই মারা যাক সে তো বাবা মায়ের সন্তান। আমরা সেজন্য সত্যিই দুঃখ প্রকাশ করি।
শুক্রবার (২৬ জুলাই) সকালে ক্ষতিগ্রস্ত বাংলাদেশ টেলিভিশন (বিটিভি) ভবন পরিদর্শনে গিয়ে তিনি এ কথা বলেন।
এ সময় প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘তার বাড়ি রংপুরের পীরগঞ্জ ওখানে। আমরা তার দাফন-কাফনের সবকিছু ব্যবস্থা করে দিয়েছিলাম।’
চলমান কোটা সংস্কার আন্দোলনে রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের’ অন্যতম সম্বনয়ক ছিলেন আবু সাঈদ। গত ১৬ জুলাই বিকেলে রংপুর বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে চলমান কোটা বিরোধী আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা মিছিল নিয়ে শহরের লালবাগ এলাকায় থেকে ক্যাম্পাসের দিকে যায়। এরপর ক্যাম্পাসে প্রবেশের চেষ্টা করলে পুলিশ ও ছাত্রলীগ তাদের বাধা দেয়। একপর্যায়ে পুলিশের সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ বাধে। পুলিশ শিক্ষার্থীদের লক্ষ্য করে রাবার বুলেট, টিয়ার সেলসহ কয়েক রাউন্ড গুলি ছোঁড়ে। ত্রিমুখী এ সংঘর্ষে মিছিলের সম্মুখে থেকে বুক পেতে দেওয়া আবু সাঈদ নিহত হন।
টিবি
Discussion about this post