ভারতের বিপক্ষে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ শেষে এবার তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে নামবে বাংলাদেশ। ভারতের সঙ্গে এই সিরিজে সাকিবকে ছাড়াই খেলতে নামবে বাংলাদেশ। কেননা ভারতের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ চলাকালীন কানপুর টেস্টের আগে এই সংস্করণ এবং টি-টোয়েন্টি থেকে অবসরের ঘোষণা দেন সাকিব।
ভবিষ্যতে টি-টোয়েন্টিতে ফেরার দরজা খোলা রেখেই জানিয়ে দেন, গত টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপেই এই সংস্করণে শেষ ম্যাচটি খেলে ফেলেছেন। যার ফলে তাকে ছাড়া দল গুছিয়ে নেয়ার কাজটা শুরু করতে হবে টাইগারদের।
আগামীকাল রবিবার প্রথম ম্যাচে টিম ইন্ডিয়ার মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। গোয়ালিয়রের শ্রীমন্ত মাধবরাও সিন্ধিয়া স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় খেলাটি শুরু হবে। ম্যাচের আগের দিন শনিবার সাকিব প্রসঙ্গে সংবাদ সম্মেলনে আসা তাওহীদ হৃদয়কে প্রশ্ন করা হয়।
ডানহাতি এই ব্যাটার বলেন,‘আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে চাপ সব সময়ই থাকে। যদি সেটা মাথায় থাকে তাহলে তো পারফর্ম করা যাবে না। আমাদের প্রক্রিয়া মেনে চলতে হবে, ভালো করার চেষ্টা করতে হবে। আর সাকিব ভাই নেই। অবশ্যই আমরা সাকিব ভাইকে মিস করব। কিন্তু এখান থেকে (জাতীয় দল) একদিন না একদিন সবাইকে যেতেই হবে। আশা করি, আমরা সাকিব ভাইয়ের শূন্যতা ভালোভাবে পূরণ করব।’
কানপুর টেস্ট শুরুর আগের দিন সাকিব টি-২০ থেকে অবসরের ঘোষণা দিলেও দলের প্রয়োজনে ফিরতেও পারেন বলে জানিয়েছিলেন। তার ভাষ্য ছিল ‘আমি ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ গুলো খেলতে থাকি, ছয় মাস-এক বছর পরে যদি বিসিবি মনে করে যদি আমার টি-২০কে কন্ট্রিবিউট করার সুযোগ আছে, আমি পারফর্ম করছি এবং ফিট আছি, দেন আমরা ডিসাইড করতে পারি।’
২০০৬ সালের ২৮ নভেম্বর জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে খুলনায় সাকিবের টি-২০ অভিষেক হয়। কিংসটাউনে গত ২৪ জুন আফগানিস্তানের বিপক্ষে শেষ টি-২০ খেলেছেন তিনি।
১২৯ ম্যাচের ১২৭ ইনিংসে ব্যাট হাতে ২৫৫১ রান করেছেন সাকিব। সর্বোচ্চ ৮৪। ২৩.১৯ গড় ও ১২১.১৮ স্ট্রাইক রেটে ব্যাট করা এ ক্রিকেটার ১৩বার অর্ধশতক পূরণ করেছেন।
বল হাতেও সমানতালে পারফর্ম করেছেন সাকিব। ১২৬ ইনিংস ১৪৯ বার উইকেট শিকারের আনন্দে মেতেছেন তিনি। দুইবার ৫ উইকেট পাওয়া এ অলরাউন্ডারের সেরা ফিগার ২০/৫। বোলিং গড় ২০.৯১ ও ইকোনমি ৬.৮১।
এম এইচ/
Discussion about this post