দুর্গাপূজার সময় ভারতের পশ্চিমবঙ্গে বাড়ে ইলিশের চাহিদা। ইলিশকে পূজার অন্যতম অনুসঙ্গ হিসেবেও বিবেচনা করেন অনেকে। এই দুর্গাপূজার আগে কলকাতার মানুষের জন্য ইলিশ পাঠাতেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কিন্তু টানা দেড় দশক ক্ষমতায় থাকা আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর সেই ধারাবাহিকতা বজায় না থাকার বিষয়টি এবার অনেকটাই নিশ্চিত।
এতে করে শঙ্কা দেখা দিয়েছে কলকাতায় বাড়বে ইলিশের দাম। এছাড়া বাংলাদেশের পদ্মার ইলিশের স্বাদ থেকেও বঞ্চিত হবেন তারা।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মৎস্য ও প্রাণীসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার জানিয়েছেন, এবারের দুর্গোৎসবে বাংলাদেশের হিন্দুধর্মাবলম্বীসহ অন্যান্য নাগরিকরা যেন ইলিশ খেতে পারেন সেটি নিশ্চিত করা হবে। ভারতের চেয়ে দেশের জনগণকেই প্রাধান্য দেওয়া হবে।
শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম নিউজ-১৮-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মৎস্য উপদেষ্টা বলেছেন, “আমরা ক্ষমা চাচ্ছি, কিন্তু আমরা ভারতে কোনো ইলিশ পাঠাতে পারব না। এটি দামী মাছ। আমরা দেখেছি আমাদের দেশের মানুষই ইলিশ খেতে পারেন না। কারণ সব ভারতে পাঠানো হয়। যেগুলো থাকে সেগুলো অনেক দামে খেতে হয়। আমরাও দুর্গোৎসব পালন করি। আমাদের জনগণও এটি উপভোগ (খেতে) পারবে।”
বন্ধুত্বের নজির হিসেবে দুর্গাপূজার সময় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৪ হাজার টন ইলিশ ভারতে পাঠাতেন। হাসিনার এই উদ্যোগের সমালোচনা করেছেন মৎস্য উপদেষ্টা ফরিদা আখতার। তিনি বলেছেন, “ভারতে মাছ পাঠানোর কোনো প্রয়োজনীয়তা ছিল না। ভারতের সঙ্গে ভালো সম্পর্কের কথা বলে তার মাছ পাঠানো ঠিক হয়নি। তিনি বাংলাদেশের মানুষের প্রয়োজনীয়তাকে উপেক্ষা করেছেন।”
মৎস্য উপদেষ্টা বলেছেন, ইলিশ নিয়ে ভারতের কোনো ইস্যু সৃষ্টি করার দরকার নেই। যদি তারা বাংলাদেশের সঙ্গে সুসম্পর্ক চায় তাহলে তাদের তিস্তার পানি বন্টনের সমস্যার সমাধার করা উচিত। সূত্র: নিউজ-১৮।
টিবি
Discussion about this post