আজ দুপুরে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া একটি আবেগঘন ফেসবুক পোস্টে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নিহত সাম্য সম্পর্কে নিজের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন।
সাম্যর স্মৃতিচারণা করতে গিয়ে তিনি লেখেন,২০১৯ সালের দিকে ক্যাম্পাসে গেস্টরুম নির্যাতনের বিরুদ্ধে কিংবা শিক্ষার্থীদের যেকোনো যৌক্তিক দাবির আন্দোলনে আমাদের সাথে যেসব মুখ সবসময় দেখা যেত, সাম্য তাদের একজন। প্রথম বর্ষ থেকেই সাম্য ছিল অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী এবং অসম্ভব ভদ্র একজন ছেলে। সেই ছোট ভাই সাম্য আজ আর আমাদের মাঝে নেই,এটা মেনে নেওয়া সত্যিই কষ্টকর।
তিনি জানান, এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ ব্যাপারে তার অবস্থান স্পষ্ট করে তিনি বলেন,হত্যাকারীদের অবশ্যই বিচারের আওতায় আনা হবে। তবে শুধু ব্যক্তি নয়,উদ্যান কেন্দ্রিক অপরাধচক্র, মাদক চক্র এবং উদ্যানের অনিরাপদ পরিবেশও এ ঘটনার জন্য সমানভাবে দায়ী।
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের নিরাপত্তাহীন অবস্থা নিয়ে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি লেখেন,সোহরাওয়ার্দী উদ্যান হবার কথা ছিল স্বস্তির জায়গা, অথচ অবৈধ দোকান, মাদক ব্যবসাসহ নানা ধরনের অপরাধচক্রের কারণে এটি দীর্ঘদিন যাবৎ আতঙ্কের স্থানে পরিণত হয়েছে।
এই প্রেক্ষাপটে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে ইতোমধ্যে যোগাযোগ করা হয়েছে বলেও জানান তিনি,ইতোমধ্যে ঢাবি প্রশাসন, গণপূর্ত মন্ত্রণালয়, ডিএমপি সহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেছি। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পরামর্শ অনুযায়ী খুব শিগগিরই উদ্যানকে একটি নিরাপদ স্থানে পরিণত করা হবে।
তিনি তার দায়বদ্ধতা ও অঙ্গীকারের কথা স্পষ্ট ভাষায় তুলে ধরেন,আমি নিজে দায়িত্ব নিয়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানকে নিরাপদ একটি জায়গা হিসেবে গড়ে তুলবো। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী এবং প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করছি।
সাম্যকে হারানোর বেদনা প্রকাশ করে উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ লেখেন,আমরা দুঃখিত সাম্য, তোমাকে নিরাপত্তা দিতে পারিনি। তবে আর কারো সাথে যেন এমন কিছু না ঘটে তা নিশ্চিত করা আমাদের দায়িত্ব।
পোস্টে তিনি শুধু একটি প্রাণহানির ঘটনায় দুঃখপ্রকাশই করেননি, বরং গোটা উদ্যান এলাকাকে নিরাপদ করতে নিজের অগ্রণী ভূমিকা পালনের দৃঢ় প্রতিশ্রুতিও ব্যক্ত করেছেন।
Discussion about this post