আমলকীর সংস্কৃত ভাষায় ,’আমলক’। এটি একপ্রকার ভেষজ ফল। তাই এই আমলকীর ভেষজ গুণ রয়েছে অনেক। ফল ও পাতা দুটিই ওষুধরূপে ব্যবহার করা হয়। আমলকীতে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন ‘সি’ থাকে।পুষ্টি বিজ্ঞানীদের মতে, আমলকীতে পেয়ারা ও কাগজি লেবুর চেয়ে ৩ গুণ ও ১০ গুণ বেশি ভিটামিন ‘সি’ রয়েছে।দেশি এই ছোট্ট ফলের গুরুত্ব আমরা বেশিরভাগই বুঝতে পারি না। আমলকি আমাদের শরীরের বিভিন্ন উপকার করতে পারে। চলুন তা- জেনে নেওয়া যাক–
ভিটামিন ‘সি’ এর সমৃদ্ধ উৎসঃ
আমলকিতে থাকে উচ্চ ভিটামিন সি, যা গরমের সময়ে বিশেষভাবে উপকারী। ভিটামিন সি একটি শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা সূর্যের আলো দ্বারা সৃষ্ট ফ্রি র্যাডিক্যালের ক্ষতি থেকে শরীরকে রক্ষা করে থাকে। এটি ইমিউনিটি সিস্টেমকে বাড়াতেও সাহায্য করে, যা গরমের সময়ে দুর্বলতা কাটিয়ে উঠতে সহায়তা করে।
হাইড্রেশন হিরোঃ
গরমের সময়ে হাইড্রেটেড থাকা গুরুত্বপূর্ণ। এক্ষেত্রে আমলকি সাহায্য করতে পারে। আমলকি পানির উপাদানে সমৃদ্ধ, যা আপনাকে হাইড্রেটেড রাখতে এবং ডিহাইড্রেশন প্রতিরোধ করতে সাহায্য করবে। আমলকি চিবিয়ে খেলে এমনিতেই তেষ্টা লাগে এবং এরপর পানি পান করলে সাধারণ পানিও মিষ্টি লাগে। এক্ষেত্রে আপনি তৃপ্তি নিয়ে পানি পান করতে পারবেন। এছাড়া আমলকির বাড়তি পুষ্টি তো যোগ হবেই। ফলে পানিশূন্যতার ভয় থেকে মুক্তি মিলবে।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়ঃ
আমলকিতে ভিটামিন সি ছাড়াও অন্যান্য পুষ্টি উপাদান রয়েছে যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। এর মধ্যে রয়েছে ভিটামিন এ, ভিটামিন ই এবং বিভিন্ন মিনারেল। সুস্থ থাকার জন্য শক্তিশালী ইমিউনিটি সিস্টেম অপরিহার্য, বিশেষ করে গরমের সময়ে যখন শরীর সংক্রমণের জন্য বেশি সংবেদনশীল থাকে।
কুলিং বৈশিষ্ট্যঃ
আমলকিতে শীতল করার বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা শরীরের তাপ কমাতে সাহায্য করে এবং গ্রীষ্মের প্রচণ্ড তাপ থেকে মুক্তি দেয়। এটি শরীরকে ভেতর থেকে ঠান্ডা করতে সাহায্য করে। আমলকি খেলে তা কৃত্রিম শীতল পদ্ধতি অবলম্বন না করে তাপ দূর করার একটি প্রাকৃতিক উপায় হয়ে ওঠে।
হজম সহায়কঃ
গরমের সময়ে কখনো কখনো হজমের সমস্যা যেমন বদহজম এবং পেটফাঁপা হতে পারে। আমলকি এক্ষেত্রে সাহায্য করে থাকে, কারণ এটি একটি প্রাকৃতিক হজম সহায়ক। আমলকি হজমের উন্নতি করতে, অম্লতা কমাতে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য রোধ করতে সহায়তা করে। নিয়মিত এই ফল খেলে তা গরমের সময়ে পাচনতন্ত্র সুস্থ এবং কার্যকরী রাখতে সাহায্য করে।
এস আই/
Discussion about this post