বাংলাদেশে বন্যা উপদ্রুত বিভিন্ন জেলা থেকে স্থানীয় বাসিন্দাদের যেসব বর্ণনা পাওয়া যাচ্ছে তাতে বোঝা যাচ্ছে মানুষজন মানবেতর জীবনযাপন করছেন। বন্যার পানির তোড়ে বহু মানুষের সহায় সম্বল ভেসে গেছে। সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত জেলা ফেনীর পরিস্থিতি নিয়ে এখনো ধারণা পাওয়া যাচ্ছে না, কারণ ফেনীর সাথে গত তিনদিন ধরে যোগাযোগ কার্যত বিচ্ছিন্ন রয়েছে।
সরকারি হিসেবে বাংলাদেশে এখন মোট এগারোটি জেলা বন্যায় আক্রান্ত। ভারতের সীমান্ত ঘেষা ফেনী জেলার বহু মানুষ উদ্বেগ আর উৎকন্ঠায় দিন কাটাচ্ছেন।
এই জেলার যেসব মানুষ দেশের অন্যান্য জায়গায় এবং বিদেশে অবস্থান করছেন। তারা জানেন না যে গ্রামে বসবাসরত তাদের পরিবারের সদস্য ও আত্মীয়দের কী অবস্থা। যোগাযোগ না থাকায় উৎকণ্ঠা আরো বাড়ছে।
উদ্বেগের সাথে দিন কাটাচ্ছেন ফেনীর সিলোনিয়া এলাকার দুবাই প্রবাসী সাইফুল হাসানও। তিনি শুক্রবার সকালের দিকে ফেসবুকে একটি ভিডিও বার্তার মাধ্যমে তার পরিবারকে উদ্ধার করার আকুতি জানান।
কাঁদতে কাঁদতে তিনি বলেন, “আমার বউ, বাচ্চা, বাবা, মা…সবাই খাবার অভাবে মারা যাইতেছে।”
এদিকে ফেনীতে দেখা দিয়েছে তীব্র বিশুদ্ধ পানি ও খাদ্য সংকট। চারদিকে পানি ও খাদ্যের জন্য হাহাকার। বিশেষ করে শহরের কিছু এলাকা থেকে পানি কমলেও বিভিন্ন ঘরবাড়ি এখন পানিতে তলিয়ে আছে।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ফেনীর লালপুল থেকে ফাজিলপুর পর্যন্ত এখনও রয়েছে কোমর পানি। মহাসড়কে তৃতীয় দিনের মতো যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। রেললাইন তলিয়ে থাকায় বন্ধ রয়েছে তৃতীয় দিনের মতো রেল চলাচল। মহাসড়কের লেমুয়া ব্রিজ ঝুঁকিতে রয়েছে বলে জানা গেছে। যেকোনো মুহূর্তে বড় ধরণের দুর্ঘটনার আশংকা রয়েছে।
পরশুরাম ও ফুলগাজী থেকে পানি অনেকটাই নেমে গেছে। শহরের প্রধান সড়কগুলো এখনও বুক ও হাঁটু পানির নিচে। পানিবন্দি মানুষগুলো এখন বাসাবাড়ি থেকে কেউ বের হতে পারছে না। সূত্র: বিবিসি বাংলা।
টিবি
Discussion about this post