প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বাসায় কাজ করা পিয়ন ৪০০ কোটি টাকার মালিক হয়েছে। আবার তিনি হেলিকপ্টার ছাড়া চলেন না। সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নিজে। রোববার গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার সাম্প্রতিক চীন সফর নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান তিনি।
দুর্নীতি বিষয়ক এক প্রশে্নর জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন: কোন ড্রাইভার কত টাকা বানালো, সেটা খোঁজ করে ধরছি বলেই আজ আপনারা জানতে পারছেন। এতকাল তো জানতে পারেননি। আমার বাসায় কাজ করে গেছে পিয়ন, সে এখন ৪০০ কোটি টাকার মালিক। হেলিকপ্টার ছাড়া চলে না, হ্যাঁ বাস্তব কথা। কী করে বানালো এ টাকা?
তার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ সম্পর্কে জানাতে গিয়ে তিনি বলেন: যখনই আমি জানছি তার কার্ড সিস করে আমার ব্যবস্থা আমি নিছি। এটাতো হয়, এটা করে; ধরার পরে না হয় এগুলো সামনে আসে। যখন ধরা পড়ে ব্যবস্থা নিই।
চলমান দুর্নীতি নিয়ে নিজের দৃষ্টি ভঙ্গি তুলে ধরে সরকার প্রধান বলেন: সারা বিশ্বেই যে দেশটা অর্থনৈতিকভাবে উন্নতি হয়, সেখানে এমন কিছু অনিয়ম কিছু লোকের হাতে চলে যায়। কিছু টাকা পয়সা যারা অপাঙ্কতেয় তাদের হাতে চলে যায়। তারা কিছু টাকা পয়সা বানায়, তারা তো অপেক্ষা করে থাকে। যুগ যুগ ধরে এমন চলে আসছে।
এসময় দুর্নীতিবাজদের খবর প্রকাশ করতে আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী: এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিলে কিছুটা হয়তো নিয়ন্ত্রণে আসে। হাতে নাতে ধরা পড়বে যারা ধরা পড়বে। আপনারাও (সাংবাদিক) খোঁজ খবর নেন।
এর আগে প্রধানমন্ত্রী তার চীন সফরের বিস্তারিত সাংবাদিকদের সামনে তুলে ধরেন।
চীনের প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াংয়ের আমন্ত্রণে গত সোমবার চীনে সরকারি সফরে বেইজিং যান। তিনি বৃহস্পতিবার দেশে ফিরেন।
৮ থেকে ১০ জুলাই বেইজিংয়ে অবস্থানকালে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে বৈঠক করেন। তিনি গ্রেট হল অব দ্য পিপলে চীনের প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াংয়ের সঙ্গেও দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন।
বুধবার সকালে প্রতিনিধি পর্যায়ের দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের পর বাংলাদেশ ও চীন ২১টি সহযোগিতার নথিতে সই এবং নবায়ন করেছে। এসবের বেশির ভাগই সমঝোতা স্মারক।
বৈঠকে এশিয়ার এই দুই দেশের মধ্যে শক্তিশালী উন্নয়ন এবং অর্থনৈতিক সহযোগিতার ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়। বাংলাদেশ ও চীন উভয়েই মুক্তবাণিজ্য চুক্তির (এফটিএ) বিষয়ে যৌথ সম্ভাব্যতা সমীক্ষার সমাপ্তিসহ সাতটি ঘোষণাপত্র সই করেছে।
টিবি
Discussion about this post