জুলাই আগষ্টে ২০২৪ এ শেখ হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে ছাত্র জনতা আন্দোলন শুরু করলে শেখ হাসিনা আন্দোলন থামানোর জন্য ছাত্র জনতাকে হত্যা ও নির্যাতনের পথ বেছে নেয়। সরকারের এহেন কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে প্রবাসী বাংলাদেশীরা বিভিন্ন দেশে দেশে প্রতিবাদ জানায়।
তেমনি স্থানীয় আইন ভঙ্গ করে সংযুক্ত আরব আমিরাতে কর্মরত প্রবাসীরা বিক্ষোভ মিছিল বের করে ও নানাভাবে আন্দোলের সাথে একাত্বতা ঘোষণা করে এবং হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানায়।স্থানীয় আইন ভঙ্গ করায় তাদেরকে আটক করে আবুধাবির ফেডারেল কোর্ট দশ বছর থেকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রদান করে।
৫ আগষ্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস এর নেতৃত্বে নতুন সরকার গঠনের পরপরই এসব প্রবাসীদের মুক্ত করার উদ্যোগ নেয় এবং প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস নিজে সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রেসিডেন্ট কে ফোন করে অনুরোধ জানান ।
তার ফলশ্রুতিতে ইতোমধ্যে ১১৩ জন এবং আজ ৭৫ জন মোট ১৮৮ জনকে মুক্তি দেয়। ১১৩ জনকে ইতোমধ্যে বাংলাদেশে চলে এসেছেন। আজ মুক্তি পাওয়া ৭৫ জন আগামী এক সপ্তাহের মধ্যেই দেশে ফিরবেন।
এর আগে শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) এক ফেসবুক পোস্টে এ তথ্য জানিয়েছিলেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব সরওয়ার আলম।
ওই পোস্টে তিনি লিখেন, ছাত্র-জনতাকে হত্যা ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে সংযুক্ত আরব আমিরাতে মিছিল ও বিক্ষোভ করায় আটক আরও ৭৫ প্রবাসী বাংলাদেশিকে ক্ষমা করেছে আমিরাত সরকার।
এ ঘটনায় এ পযর্ন্ত মোট ১৮৮ জনকে মুক্তি দিয়েছে আমিরাত। আলহামদুলিল্লাহ্। ধন্যবাদ সংশ্লিষ্ট সকলকে।
এ ইউ/
Discussion about this post