রাজবাড়ী জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) আমেরিকায় পাঠানোর নামে অসহায় মানুষের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নেওয়া এক প্রতারককে গ্রেপ্তার করেছে। এ সময় প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত ভুয়া জাতীয় পরিচয়পত্র, জন্ম সনদ, টিন সার্টিফিকেট, ড্রাইভিং লাইসেন্সসহ বিভিন্ন ভুয়া ডকুমেন্ট জব্দ করা হয়।
এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে মঙ্গলবার (২ জুলাই) বিকেলে বিষয়টি নিশ্চিত করে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। এর আগে গত সোমবার (১ জুলাই) বিকেল পৌনে ৫টার দিকে রাজবাড়ী অফিসার্স ক্লাবের সামনে থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।গ্রেপ্তারকৃত প্রতারকের নাম খান হুমায়ুন কবির (৪৭)। তিনি নড়াইল জেলার নড়াগাতি থানা পুলিশের ঘড়িডাঙ্গা গ্রামের মৃত শামসুল হক খানের ছেলে। ২০১০ সালে তার সেনাবাহিনীর চাকরি চলে যায়।
জানা গেছে, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে চাকরি করতেন গ্রেপ্তারকৃত হুমায়ুন কবির। ২০১০ সালে তার চাকরি চলে যায়। চাকরি হারানোর পর, তিনি বাড়িতে না গিয়ে ঢাকায় যান এবং প্রতারণার উদ্দেশ্যে কৌশলে তার জাতীয় পরিচয়পত্র, জন্ম সনদ, টিন সার্টিফিকেট ও ড্রাইভিং লাইসেন্সসহ বিভিন্ন ভুয়া ডকুমেন্ট তৈরি করেন। হুমায়ুন তার প্রকৃত নাম-পরিচয় গোপন রেখে ঢাকায় এবং পরবর্তীতে রাজবাড়ী জেলার বানীবহ এলাকায় মিথ্যা তথ্য দিয়ে প্রতারণার উদ্দেশ্যে জাল জাতীয় পরিচয়পত্র এবং মিথ্যা জন্ম সনদসহ বিভিন্ন ডকুমেন্ট প্রস্তুত করেন। এরপর, এই ডকুমেন্ট ব্যবহার করে গ্রামের সহজ-সরল মানুষের বিশ্বাস অর্জন করে তাদের কাছ থেকে আমেরিকা পাঠানোর প্রলোভন দেখিয়ে নগদ ১৩ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেন।
এ ঘটনায়,এলাকার আলী হোসেন বাদী হয়ে রাজবাড়ী সদর থানায় হুমায়ুন কবিরের বিরুদ্ধে প্রতারণার মামলা করেন, যার ফলে হুমায়ুন কিছুদিন কারাগারে ছিলেন। জামিনে মুক্তি পাওয়ার পর, তিনি ভুক্তভোগীদের নামে একের পর এক মিথ্যা মামলা দায়ের করেন এবং রাজবাড়ী আদালতে ভুয়া নাম-পরিচয় ব্যবহার করে ১১টি মামলা করেন।
জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুজ্জামান খান জানান, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে প্রতারক হুমায়ুন কবিরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে যশোরের কোতয়ালী থানায় একটি মামলা রয়েছে এবং রাজবাড়ী সদর থানায় একটি মামলা রুজু প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
এস এম/
Discussion about this post