আলোচিত বন্দীশালা ডিজিএফআই এর আয়নাঘর পরিদর্শনে গিয়ে ভুক্তভোগীদের অভিযোগের মিল পেয়েছে গুম সংক্রান্ত কমিশন অফ ইনকোয়ারি সংস্থাটি। তবে বিভিন্ন স্থান পরিবর্তনের পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণগুলো মুছে ফেলার অভিযোগ তুলেছে সংস্থাটি। বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) গুম সংক্রান্ত কমিশনের কার্যক্রম নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য দিয়েছে সংস্থাটি। এদিকে ১৩ কার্যদিবসে ৪০০ ভুক্তভোগী পরিবার অভিযোগ দিয়েছে। যার বেশির ভাগই র্যাবের বিরুদ্ধে।

২০০৯ সালে ক্ষমতায় আসার পর থেকে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ, সরকারের সমালোচক ও ভিন্ন মতাবলম্বীদের দমনের কাজে সরকারের পক্ষে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্যদের ব্যবহার করে বিচারবহির্ভূত হত্যা, গুম-খুনের মত ঘটনা ঘটিয়েছে বিগত আওয়ামী লীগ সরকার। যার পরিমাণ এতই যে সুনির্দিষ্ট কোনো সংখ্যা কোনো সংস্থার কাছে নেই।
দেশে গত সাড়ে ১৫ বছরে গুমের ঘটনার তদন্ত ও বিচারের প্রতিশ্রুতি দিয়ে জোরপূর্বক গুম হওয়া ব্যক্তিদের সন্ধানে ‘গুম সংক্রান্ত কমিশন অব ইনকোয়ারি’ গঠন করে অন্তর্বর্তী সরকার। গত ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হয়েছে গুম সংক্রান্ত তদন্ত কমিশনে অভিযোগ দাখিলের কার্যক্রম। গুম সংক্রান্ত কমিশনের কার্যক্রম নিয়ে বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) দুপুরে গুলশান কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে সংস্থাটি। এসময় সংস্থাটি জানায়, ১৩ কার্যদিবসে ৪০০ ভুক্তভোগী অভিযোগ দিয়েছেন যার বেশিরভাগ অভিযোগ এসেছে র্যাবের বিরুদ্ধে। এছাড়াও ডিবি, সিটিটিসি, ডিজিএফআই; এসব আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিরুদ্ধেও অভিযোগ রয়েছে।
গুম সংক্রান্ত কমিশনের সভাপতি হাইকোর্ট বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ডিজিএফআই এর আয়নাঘর ও সিটিটিসি ইন্টারোগেশন সেল পরিদর্শন করেছে সংস্থাটি, তবে কোনো ভুক্তভোগী পাওয়া যায়নি। আজমীসহ সশরীরে ৭৫ জন ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করেছেন। যাদের বিরুদ্ধে প্রমাণসহ অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে তাদের তলব করা হবে।
অভিযোগের ভিত্তিতে ডিজিএফআই এর আয়নাঘর ও সিটিটিসি’র ইন্টারোগেশন সেল পরিদর্শন করে সংস্থাটি। তবে কোনো ভুক্তভোগী পাওয়া যায়নি। ভুক্তভোগীদের অভিযোগের ভিত্তিতে ডিজিএফআই এর আয়নাঘরে সঙ্গে মিল পাওয়া গেছে বলে জানায় সংস্থাটি। তবে ডিজিএফআই বিভিন্ন স্থান পরিবর্তনের পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণগুলো মুছে ফেলেছে বলে অভিযোগ করেছে গুম সংক্রান্ত কমিশন।
যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আছে তাদের তলব করা হবে যদি তারা সাড়া না দেন আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়ার কথাও জানায় সংস্থাটি।
এ ইউ/
Discussion about this post