কোপা আমেরিকায় কানাডাকে ২-০ গোলে হারিয়ে শুভ সূচনা পেয়েছে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা। প্রথমার্ধে কোনো গোল করতে না পারলেও দ্বিতীয়ার্ধে ঠিকই ছন্দ খুঁজে পায় আলবিসেলেস্তেরা। লিওনেল মেসি-আনহেল দি মারিয়া-লওতারো মার্তিনেসরা কয়েকটি সহজ সুযোগ হাতছাড়া না করলে স্কোরলাইন আরও বড় হতে পারত।
অভিজ্ঞতা, শক্তি সামর্থ্য বিবেচনায় পিছিয়ে থাকা কানাডার পরাজয়টা অনুমিতই ছিল। তবুও প্রথমার্ধে তারা নিজেদের জাল অক্ষত রাখতে পেরেছিল। দ্বিতীয়ার্ধে আর কুলিয়ে উঠতে পারেনি কানাডা। দলের পরাজয়ের পেছনে আর্জেন্টিনার ‘বিলম্বে’ মাঠে ঢোকা কৌশলকে দায়ী করেছেন কানাডা কোচ জেসি মার্শ। বিষয়টি তদন্ত করে আর্জেন্টিনাকে জরিমানা করার দাবিও জানিয়েছেন কানাডা কোচ।
দ্বিতীয়ার্ধে কানাডা নির্ধারিত সময়ে মাঠে প্রবেশ করলেও মেসিরা মাঠে ঢোকেন কয়েকমিনিট পরে। খেলা শুরুর চার মিনিট পরেই প্রথম গোল পেয়ে যায় আর্জেন্টিনা। কানাডা কোচের ধারণা, বিরতির সময় কানাডার ফুটবল বিশ্লেষণ করছিল লিওনেল স্কালোনির দল। সে কারণে মাঠে ঢুকতে দেরি করেছেন মেসিরা।
এ নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে ক্ষোভ ঝেড়ে মার্শ বলেছেন, ‘যখন ওরা (কানাডা) অপেক্ষা করছিল, আমি জানি তারা (আর্জেন্টিনা) ভিডিও দেখছিল এবং কীভাবে আমাদের বিপক্ষে খেলবে, সেটার বিশ্লেষণ করছিল।’
মার্শের ধারণা, দেরিতে মাঠে ঢোকার কারণে আর্জেন্টিনা বাড়তি যে প্রস্তুতি নিতে পেরেছে, সেটাই ম্যাচের ব্যবধান গড়ে দিয়েছে। সে কারণে বিষয়টি তদন্তের দাবি জানান তিনি। মার্শ বলেছেন, ‘আমি চাই, রেফারিরাই বিষয়টি পর্যালোচনা করুক। যদি আমরা পাঁচ মিনিট দেরি করতাম, তাহলে আমাদের জরিমানা করা হত। বড় ধরনের ঝামেলায় পড়তাম আমরা। এখন দেখা যাক, আর্জেন্টিনার ক্ষেত্রে কী হয়।’
স্কালোনির দলের জরিমানা হওয়া উচিত বলে মনে করেন মার্শ, ‘আর্জেন্টিনার জরিমানা হওয়া উচিত। বুঝতে পেরেছেন? জরিমানা। এটাই লেখেন।’
এ এ/
Discussion about this post