হংকং কনভেনশন অনুযায়ী, আগামী জুনের মধ্যে দেশের শিপ রিসাইক্লিং ইয়ার্ডগুলোকে গ্রিন ইয়ার্ডে পরিণত করতে হবে। তবে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে এ শর্ত পূরণ করতে পারবে অর্ধেকের মতো। অর্থ সংকটে গ্রিন হতে না পেরে জাহাজ কাটা বন্ধ রাখতে হবে বাকি অর্ধেক ইয়ার্ডকে। এর কারণ এ কাজে ন্যূনতম যে ৩০ কোটি টাকার প্রয়োজন, সরকারি সহায়তা ছাড়া তা ব্যবস্থা করতে পারছে না অনেকেই।
২০০৯ সালে অনুষ্ঠিত হংকং কনভেনশনে আইএমও’র সদস্য দেশগুলোর জাহাজ কাটার সব ইয়ার্ডকে গ্রিন ইয়ার্ডে রূপান্তরের বাধ্যবাধকতা দেয়া হয়। যার সময় শেষ হচ্ছে আগামী বছরের ২৬ জুন ।
নিয়মানুযায়ী অনুসমর্থনের ২ বছরের মধ্যে ইয়ার্ডগুলোকে গ্রিন করতে হয়। বাস্তবে অর্থ সংকটে এখন পর্যন্ত দেশে গ্রিন হয়েছে মাত্র ৫টি। আরও ২০টি প্রক্রিয়াধীন থাকলেও নির্ধারিত সময়ের মধ্যে গ্রিন করা সম্ভব হতে পারে ১৩ থেকে ১৪টি। ফলে চালু থাকা ৪০টি ইয়ার্ডের প্রায় অর্ধেকই শর্ত পূরণে ব্যর্থ হবে। জাইকার সহায়তায় প্রতিবেশী ভারত সব ইয়ার্ডকে গ্রিন করে নিতে পারলেও কানাকড়িও মেলেনি বাংলাদেশের ভাগ্যে।
এইচ এম স্টিলের পরিচালক সরওয়ার আলম বলেন, বিদেশি কোন ফান্ডের মাধ্যমে গ্রিন ইয়ার্ডের জন্য যদি দীর্ঘ মেয়াদে স্বল্প সুদে ঋণের ব্যবস্থা করা যায় তাহলে বাকি যে ইয়ার্ডগুলো আছে তা সহসায় গ্রিন ইয়ার্ডে রুপান্তরিত করা যাবে।
নিরাপত্তা, উন্নত কর্মপরিবেশ আর শ্রমিকের সুস্বাস্থ্য নিশ্চিতসহ দেড়শ’র মতো ছোট-বড় বিষয় বাস্তবায়ন করতে হয় গ্রিন ইয়ার্ডে। যাতে গুরুত্ব পাচ্ছে কার্বন নিঃসরণ কমানো। এমন বাস্তবতায় এই শিল্পকে বাঁচাতে সরকারের নিবিড় মনোযোগের তাগিদ সংশ্লিষ্টদের।
২২টির মতো দেশ শিপ রিসাইকেল করে থাকে। যাতে বাংলাদেশ শীর্ষস্থানীয়। এ খাত থেকে যোগান দেয়া হয় দেশের মোট ইস্পাতের ৬০-৬৫ ভাগ।
এস এইচ/
Discussion about this post